প্রতীকী ছবি।
এক বধূকে নির্যাতন করা হচ্ছে, এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এক সাব-ইনস্পেক্টর। কিন্তু সেখানে গিয়ে নিগৃহীত হতে হল তাঁকেই!
লালবাজার জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে গার্ডেনরিচ থানা এলাকার ধানক্ষেতিতে। স্ত্রীকে মারধর এবং পুলিশকর্মীর কাজে বাধাদান, নিগ্রহ-সহ একাধিক অভিযোগে মহম্মদ মইনুদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন গার্ডেনরিচ থানার তদন্তকারীরা। ধৃতকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ জানায়, একটি মানবাধিকার সংগঠনে কাজ করেন বলে ধৃতের দাবি। বছর খানেক আগে মইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁর স্ত্রী নিখাত শেখ। পুলিশ জানায়, সোমবারের ঘটনায় স্বামীর আক্রমণে ফের জখম হয়েছেন নিখাত।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে লালবাজারের কন্ট্রোল রুমের তরফে গার্ডেনরিচ থানার অফিসারদের জানানো হয় যে, এক বধূকে ধানক্ষেতিতে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে শারীরিক নিগ্রহ করা হচ্ছে। এর পরেই মোটরবাইকে টহলরত অফিসারকে ঘটনাস্থলে যেতে বলা হয়। সেই মতো ওই থানার সাব-ইনস্পেক্টর সমীরকান্তি মণ্ডল ধানক্ষেতিতে পৌঁছন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে সমীরবাবু জানতে পারেন, মইনুদ্দিন নিখাতের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে।
পুলিশের দাবি, বাড়িতে পুলিশ এসেছে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ধৃত। সমীরবাবুকে ঘরে ঢুকতে না দেওয়ার পাশাপাশি মইনুদ্দিন তাঁর কাছে জানতে চান, পারিবারিক বিবাদে পুলিশ হস্তক্ষেপ কেন করছে। ওই অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং বদলি করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন মইনুদ্দিন। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, বচসার মধ্যেই ধৃত সমীরবাবুকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন। এর পরেই সমীরবাবু থানায় ফোন করে ঘটনাটি জানান।
লালবাজার সূত্রের খবর, অফিসারকে নিগ্রহ করা হয়েছে জানার পরেই বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। সেই সঙ্গে পাঠানো হয় মহিলা পুলিশের একটি দল। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী এলাকাবাসীর সাহায্য নিয়ে মইনুদ্দিনের বাড়িতে ঢোকে। জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নিখাতকে। তাঁর মুখে গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, বছরখানেক আগে ধৃতের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের হওয়ার পরে উভয় পক্ষই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা মিটিয়ে নেন। ফের দু’জনে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। অভিযোগ, সোমবার থেকে ফের স্ত্রীর উপরে শারীরিক নির্যাতন শুরু করেন মইনুদ্দিন। বিষয়টি জানতে পারেন নিখাতের ভাই। তিনিই লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে ঘটনাটি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy