Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বেহাল নিকাশি, ভাসছে পাটুলি

বৃষ্টি হলেই রাস্তা যেন নদী। জমা জল ঠেলে যাতায়াত করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না বাসিন্দাদের। প্রতি বর্ষায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় দক্ষিণ শহরতলির পাটুলির বাসিন্দাদের। অভিযোগ, বহু দিন নিকাশির সংস্কার হয়নি। প্রশাসনকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি।

বর্ষায় পরিচিত ছবি। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

বর্ষায় পরিচিত ছবি। ছবি: শশাঙ্ক মণ্ডল।

দেবাশিস দাস
শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৫ ০০:১৭
Share: Save:

বৃষ্টি হলেই রাস্তা যেন নদী। জমা জল ঠেলে যাতায়াত করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় থাকে না বাসিন্দাদের। প্রতি বর্ষায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় দক্ষিণ শহরতলির পাটুলির বাসিন্দাদের। অভিযোগ, বহু দিন নিকাশির সংস্কার হয়নি। প্রশাসনকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি।

সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। তিনি জানান, পাটুলির জমি অনেক নিচু। রাতারাতি তা উঁচু করে জল সরানো সম্ভব নয়। তাঁর দাবি, অন্য বারের তুলনায় এ বারে পাটুলির মানুষকে জমা জলের সমস্যায় কম ভুগতে হবে। বাপ্পদিত্যবাবু বলেন, ‘‘আগে জল জমলে চার থেকে পাঁচ দিনে নামতো। এ বার সতর্ক থাকায় এলাকায় পাম্প চালিয়ে সেই জল এক রাতের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পাটুলি এলাকার সর্বত্রই জমা জলের সমস্যা থাকলেও সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন ‘জে’ এবং ‘আই’ ব্লকের বাসিন্দারা। অনেক বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকে যায়। সাপ ও বিযাক্ত পোকামাকড়ের ভয় তো থাকেই। জল জমার কারণে বাড়িতে ঢোকা-বেরনোয় সমস্যা হয়। এমনকী জলের তোড়ে ভেসে আসা আবর্জনার দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে যায়। জমা জলে আটকে থাকার দুর্বিষহ পরিস্থিতি এড়াতে অনেক বাসিন্দাই ফ্ল্যাট ছেড়ে তখন অন্যত্র চলে যান।

বাসিন্দা সুবোধ সেনগুপ্তের কথায়: ‘‘জমা জল পায়ে লাগলে লাল লাল দাগ বেরোয়। মশার উপদ্রব বাড়ে। পোকামাকড়ের উপদ্রবে বাড়ির চার পাশে কীটনাশক ছড়াতে হয়।’’ বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পাটুলির নিকাশির মুখগুলি দীর্ঘ দিন আবর্জনা জমে বন্ধ। এলাকায় অনেকগুলি জলাশয় রয়েছে। বর্ষায় রাস্তার জমা জল আর জলাশয়গুলির মধ্যে ফারাক বোঝা দায় হয়ে যায়।

পাটুলির নিকাশি সংস্কার নিয়ে এ বার আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘ওখানকার সমস্যা আমাদের নজরে রয়েছে। বর্ষা শেষ হলেই এলাকার নিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আমরা পরিকল্পনা করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE