ফাইল চিত্র।
বেহালার বাসিন্দা অমিত ভাওয়াল। প্রায়ই তাঁকে কর্মসূত্রে ভোরে বেরোতে হয়। বেশির ভাগ সময়েই ট্যাক্সি করে হাওড়া অথবা শিয়ালদহ স্টেশনে যান অমিত। ট্যাক্সি যাত্রা নিয়ে তাঁর নানা ধরনের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। কখনও তাঁকে শুনতে হয়, “মিটারের থেকে একটু বেশি দিয়ে দেবেন।” কখনও ট্যাক্সি চালক সটান বলে দেন, ‘‘যেতে পারব না।’’ কখনও আবার, মিটার ছেড়ে চালক ইচ্ছে মতো ভাড়ার আবদার করেন।
এই রোগ বহু পুরনো। হলুদ ট্যাক্সি যাঁরা চড়েন, তাঁদের এমন অভিজ্ঞতা প্রায়ই রয়েছে। হলুদ ট্যাক্সির এই ঝক্কির থেকে এখন অ্যাপ নির্ভর ক্যাবকে বেশি ভরসা করেন শহরবাসী। ট্যাক্সিচালকদের একাংশের বিরুদ্ধে ভূরিভূরি অভিযোগ ওঠায় হলুদ ট্যাক্সিতে অ্যাপের চিন্তাভাবনা শুরু হয়। এক বছর আগে এ বিষয়ে পরিবহণ দফতরে চিঠি দিয়ে আবেদন করেছিল বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের দাবি, অ্যাপের মাধ্যমে ওলা-উব্রের মতো বুকিং হলে প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি অনেক কমবে। অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারবেন না চালক।
বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিমল গুহ বলেন, “এক বছর আগে চিঠি দিয়ে হলুদ ট্যাক্সিতে অ্যাপ পরিষেবা দেওয়া যায় কিনা, তা জানতে চেয়েছিলাম। এখনও পর্যন্ত, সে বিষয়ে কোনও অনুমতি মেলেনি। ফের চিঠি দিয়েছি। যদি নাকোনও উত্তর মেলে, তাহলে এবার হাইকোর্টে যাব।”
আরও পড়ুন : নিজস্ব শৈলীতে ইদের শুভেচ্ছা জানালেন বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক
আরও পড়ুন : দিন হোক বা রাত, ট্যাক্সির ‘না’ শুনতেই অভ্যস্ত শহর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy