প্রতীকী ছবি।
বিদেশে পাচারের পথে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার রক্তচন্দন কাঠ বাজেয়াপ্ত করল ‘ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স’ (ডিআরআই)। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আনা ওই কাঠের মোট পরিমাণ ৬ হাজার ৭৯০ কিলোগ্রাম, যা রাখা ছিল একটি কন্টেনারে। সেই কন্টেনারটি ছিল খিদিরপুরের হাইড রোডে, একটি প্লাই সংস্থার দফতরের সামনে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই কন্টেনারের চালক ছেদিলাল রাজভর ও সঞ্জয় সিংহ মৌর্য নামে আর এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিআরআই সূত্রের খবর, কিছু দিন আগে খাতায়-কলমে বাংলাদেশে জিনিস রফতানি হচ্ছে দেখিয়ে জাল নথি তৈরি করে ভারত সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে কয়েক জন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। অথচ, বাস্তবে কোনও রফতানি হচ্ছিল না। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হন সঞ্জয়। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে যাঁরা আমদানি-রফতানির ব্যবসা করেন, তাঁদের হয়ে শুল্ক দফতরের সঙ্গে মধ্যস্থতা করা, কন্টেনার জোগাড় করা, বিল বানানো-সহ যাবতীয় কাজ করতেন সঞ্জয়। অভিযোগ, এই রক্তচন্দন রফতানি সংক্রান্ত কাগজপত্রও তিনি তৈরি করেন। তবে সেখানে রক্তচন্দনের জায়গায় জামাকাপড় রফতানি হচ্ছে বলে লেখা ছিল।
ডিআরআই জানিয়েছে, শ্বেত ও রক্ত— দু’ধরনের চন্দন কাঠই ভারত থেকে রফতানি করা বেআইনি। অন্ধ্রপ্রদেশের তিনটি জেলায় এই রক্তচন্দন পাওয়া যায়। সোমবার খবর পেয়ে ডিআরআই অফিসারদের সঙ্গে শুল্ক অফিসারেরা খিদিরপুরে হানা দেন। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া রক্তচন্দনের মধ্যে বিভিন্ন আকারের গুঁড়ি ছিল। সেগুলি সমুদ্রপথে অন্য দেশ ঘুরে শেষে চিনে যাওয়ার কথা ছিল। ডিআরআই-কর্তারা জানান, কলকাতারই এক সংস্থার নাম করে তাদের ইম্পোর্ট-এক্সপোর্ট কোড নম্বর ব্যবহার করে ওই কাঠ রফতানির চেষ্টা হচ্ছিল। সেই সংস্থা জানিয়েছে, তাদের কোড যে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা তারা জানত না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy