তখন চলছিল পড়ুয়াদের বিক্ষোভ।—ফাইল চিত্র।
মেধা তালিকা প্রকাশের পর কাউন্সেলিং ফি কমানোর দাবিও মেনে নেওয়ায় প্রেসিডেন্সিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করলেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের কাউন্সেলিংয়ের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তার জন্য বৈধ নথিপত্র নিয়ে সেই পড়ুয়াকে ভর্তির পর আবেদন করার আর্জি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ছাত্রদের বক্তব্য, আন্দোলনের জয় হয়েছে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাউন্সেলিংয়ের জন্য গত ১১ তারিখ থেকে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল। গত বছর এই কাউন্সেলিং ফি ছিল ১০০ টাকা। এ বছর পাঁচ গুন ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং মেধা তালিকা প্রকাশের দাবিতে তিন দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল এসএফআই। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় এআইএসএ এবং আইসি। পড়ুয়াদের যুক্তি ছিল, অনেক গরিব পড়ুয়া রয়েছেন, তাঁরা কেন কাউন্সেলিংয়ের জন্য ৫০০ টাকা দেবেন। পাশাপাশি মেধা তালিকা প্রকাশ না করায় কে, কত নম্বরের ভিত্তিতে কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাচ্ছেন, তা কেউ জানতে পারছেন না। তাই মেধা তালিকা প্রকাশ করে স্বচ্ছতা আনার দাবিও জানায় পড়ুয়ারা।
ছাত্রদের দাবি মেনে শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু কাউন্সেলিং ফি কমানোর দাবি না মেটায় আন্দোলনেই অনড় ছিলেন পড়ুয়ারা। অবশেষে শনিবার রাতের দিকে ছাত্রদের সেই দাবিও মেনে নেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরই ঘেরাও-বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: কুড়ি ঘণ্টারও বেশি ঘেরাও ডিন ও রেজিস্ট্রার, উত্তাল প্রেসিডেন্সি
আরও পড়ুন: তালিকা সোমবার, পিছোচ্ছে কাউন্সেলিং
মেধা তালিকা প্রকাশের পর আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা জানিয়েছিলেন, অর্ধেক জয় হয়েছে। কিন্তু কাউন্সেলিং ফি না কমানো পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের পর এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, দাবি মেনে নেওয়ায় আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ধারাবাহিক আন্দোলনে ছাত্রদের জয় হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy