Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

হস্টেলে দেরি কেন, পার্থকে ব্যাখ্যা লোহিয়ার

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হিন্দু হস্টেলের সংস্কার হলে পড়ুয়াদের মধ্যে অসন্তোষ হত না। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৮ ০৩:১০
Share: Save:

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হিন্দু হস্টেলের সংস্কার হলে পড়ুয়াদের মধ্যে অসন্তোষ হত না। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে এই বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সময় কমিয়ে দ্রুত কী করে সংস্কার করা যায়, সমবেত ভাবে সেই কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী। শিক্ষা সূত্রের খবর, হস্টেলের বিষয়ে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে ফোন করেন তিনি।

হিন্দু হস্টেল সংস্কারের জন্য ২০১৫ সাল থেকে সেখানে পড়ুয়াদের থাকা বন্ধ হয়ে যায়। রাজারহাটে একটি হস্টেলে তাঁদের থাকার অস্থায়ী ব্যবস্থা করেন কর্তৃপক্ষ। ১১ মাস পরে হস্টেল খোলার কথা থাকলেও তা হয়নি। পরে প্রতিশ্রুতি দিয়েও গত ১৫ জুলাই হস্টেলে ফের চালু করা যায়নি। এর মধ্যে সংস্কারের দায়িত্ব নেয় পূর্ত দফতর। কিন্তু হস্টেল ফেরত চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকেই অস্থায়ী হিন্দু হস্টেল বলে ঘোষণা করে বিছানা-বালিশ নিয়ে থাকতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। উপাচার্য সোমবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার পরেও বরফ গলেনি। মঙ্গলবারেও তাঁরা জানান, অবস্থান চলবে।

এরই মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী এ দিন উপাচার্যকে ফোন করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, কেন কাজে দেরি হয়েছে, মন্ত্রীকে তার ব্যাখ্যা দেন উপাচার্য। নজরদারিতে খামতি ছিল বলে পরে ঘনিষ্ঠ মহলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

পার্থবাবু পরে সংবাদমাধ্যমে জানান, পড়ুয়ারা যে-ভাবে বিছানা নিয়ে ক্যাম্পাসে রয়েছেন এবং দেওয়ালে লেখালেখি করছেন, তাতে প্রেসিডেন্সি নামের যে-গর্ববোধ, সেটা নিশ্চয়ই মাঝেমধ্যে ধাক্কা খাচ্ছে। তাঁর সংযোজন, ‘‘কর্তৃপক্ষকে বলব, কী করে সময় কমিয়ে তাড়াতাড়ি সংস্কার শেষ করা যায়, তাঁরা যেন সমবেত ভাবে সেই চেষ্টা করেন। ছাত্রদের থাকার জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা হয়েছে। হস্টেল সংস্কার যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ হত, তা হলে ছাত্রদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিত না।’’

উপাচার্য জানিয়েছেন, পূর্ত দফতর আশ্বাস দিয়েছে, চার-পাঁচ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। হস্টেল পড়ুয়াদের পক্ষে সব রকমের বিপদ থেকে মুক্ত, পূর্ত দফতর এটা লিখিত ভাবে জানানোর আগে হস্টেল চালু করা যাবে না। পূর্ত দফতর সূত্রে এ দিন জানানো হয়, হস্টেলের রান্নাঘর, খাবার ঘর, সুপার ও ডেপুটি সুপারের আবাস, কিছুটা নিকাশি-সহ নির্দিষ্ট অংশের সংস্কারের দায়িত্ব পেয়েছে তারা। সেই কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। বাকিটার কথা তাদের জানা নেই। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড এবং অন্যান্য জায়গার সংস্কার করবে কে? এই বিষয়ে উপাচার্যকে ফোন করা হলে তিনি ফোন তোলেননি।

জটিলতার জন্য কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের দূরত্বকেও দায়ী করছেন অনেকে। পড়ুয়ারাও জানান, উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আগের দিন থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়। তাই কী কারণে কাজ হচ্ছে না, সেটা পড়ুয়াদের কাছে স্পষ্ট হয়নি। সম্প্রতি একটি কমিটি গড়ে তাতে পড়ুয়াদের রাখলেও সুরাহা হয়নি।

আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মধ্যেও যে কিছুটা বিভাজন তৈরি হয়েছে, এ দিন তার ইঙ্গিত মিলেছে। এক পক্ষ সুর নরম করতে চাইলেও অন্য পক্ষ তাতে রাজি নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE