অলংকরণ- তিয়াসা দাস
‘গুরু’র জামিনের আশায় আদালতের বাইরে অপেক্ষা করছিল সাগরেদরা। না, এ বারও জামিন হল না। বিচারক ফের তার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এমন খবর পেয়ে সাগরেদদের মুখ চুন! পুলিশ ভ্যানে তোলা হবে ‘গুরু’কে। আদালত চত্বরে হাতকড়া প়রিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন সময় হঠাৎ পকেট থেকে লঙ্কার গুঁড়ো বার করে পুলিশের মুখে ছিটিয়ে দৌড় রাস্তার দিকে। তার পর সাগরেদদের গাড়িতে উঠেই পগার পার দিল ‘গুরু’!
এটা কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। বৃহস্পতিবার আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত চত্বরে ঘটনাটি ঘটেছে। এ দিন শেখ রেজ্জাক নামে এক ডাকাতির ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আনা হয়েছিল। শুনানির পর তাকে আদালত চত্বর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ ভ্যানে ওঠার আগেই, একেবারে ফিল্মি কায়দায় পুলিশের চোখে লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে পালিয়ে যায় বছর বাইশের ওই আসামি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই ঘটনায় পুলিশের কিছু করার ছিল না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেয় ওই আসামী।। চোখ কচলাতে কচলাতে ছটফট করছিলেন পুলিশ কর্মীরা। সেই সুযোগে চম্পট দেয় ওই আসামি।
আরও পড়ুন: বিষাক্ত স্বচ্ছ জলে ডোবা রহস্যময় এই গুহা গাড়ির কবরস্থান!
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে যাদবপুরে একটি ডাকাতির ঘটনায় রেজ্জাক গ্রেফতার হয়। ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি-সহ বিভিন্ন তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত যাদবপুরের ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে তার ‘ঠিকানা’ হয়েছিল আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার।
এক পুলিশ অফিসারের কথায়: “অনেক দিন আগে থেকেই প্ল্যান করা হয়েছিল। তাই আগে থেকেই বাইরে সাগরেদরা একটি গাড়িতে অপেক্ষা করছিল। লঙ্কার গুঁড়োও আগে জোগাড় করে রেখে ছিল ওই আসামী। পুরোটাই পরিকল্পনা মাফিকই হয়েছে। এই ঘটনাতে পুলিশের গাফিলতি রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন:নারকেলডাঙায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য, চলল বোমা-গুলি, আহত প্রোমোটার
এ দিনের ঘটনার পুলিশ ওই আসামির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। আদালতের বাইরে ও ভিতরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাস্তার উপরেই গাড়িটি অপেক্ষা করছিল। সেখানকার ফুটেজও দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy