Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

নেশার ওষুধ থেকে বাঁচাতে মিছিল

চরস, গাঁজা, কোকেন বা মদ নয়। কাশির সিরাপ, ঘুমের ট্যাবলেট বা নানা ধরনের ট্যাবলেট খেয়ে নেশা করার প্রবণতা বাড়ছে এলাকায়। আর তাই ওষুধের দোকান থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দেদার বিকোচ্ছে এই ধরনের ওষুধ।

বার্তা: সচেতনতায় পথে পড়ুয়ারা। সোমবার, খিদিরপুরে। নিজস্ব চিত্র

বার্তা: সচেতনতায় পথে পড়ুয়ারা। সোমবার, খিদিরপুরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

চরস, গাঁজা, কোকেন বা মদ নয়। কাশির সিরাপ, ঘুমের ট্যাবলেট বা নানা ধরনের ট্যাবলেট খেয়ে নেশা করার প্রবণতা বাড়ছে এলাকায়। আর তাই ওষুধের দোকান থেকে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দেদার বিকোচ্ছে এই ধরনের ওষুধ। এর বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে সোমবার পথে নামলেন খিদিরপুর, মোমিনপুরের বাসিন্দারা। এ দিন মোমিনপুর থেকে খিদিরপুর মোড় পর্যন্ত ওই মিছিলে যুবক-বৃদ্ধদের সঙ্গে পা মেলায় স্কুলপড়ুয়ারাও।

‘প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ কিনবেন না’, ‘নেশামুক্ত সমাজ গড়ুন’— এমনই নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে মিছিলে যোগ দিয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা। একাদশ শ্রেণীর ছাত্র মহম্মদ ইকবাল বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় কয়েক জন বন্ধুকে দেখেছি, যাদের বেশি দাম দিয়ে মাদক কেনার পয়সা নেই। তারা কম পয়সায় এই ধরনের ট্যাবলেট বা সিরাপ কিনে থাকে, যেগুলো খেলে নেশা হয়। বেশি দিন ধরে খেতে খেতে অনেকের শরীর খারাপ হয়ে যেতেও দেখেছি।’’ মোমিনপুরের বাসিন্দা মহম্মদ জাহিদ বলছেন, ‘‘এলাকার কিছু ওষুধের দোকান রয়েছে, যেগুলো অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। মূলত ওই দোকানগুলো থেকেই রাতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি হয়।’’ তিনি জানাচ্ছেন, এই নিয়ে ওয়াটগঞ্জ ও মোমিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন স্থানীয়েরা।

এ দিনের সচেতনতা মিছিলের আয়োজনকারী সংগঠনের তরফে সাবির ওয়াসিম অবশ্য জানাচ্ছেন, বিনা প্রেসক্রিপশনে ওষুধ বিক্রির এই প্রবণতা রয়েছে গোটা কলকাতা জুড়েই। সাবিরের কথায়, ‘‘এই ধরনের নেশা করার প্রবণতা স্কুলপড়ুয়া বা আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের বেশি থাকে। তাই ওষুধের দোকানদারদের মধ্যে সচেতনতা না বাড়লে এ জিনিস বন্ধ করা কঠিন।’’

ওয়াটগঞ্জ এলাকার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে যে, এলাকার বিভিন্ন ওষুধের দোকানে মাঝেমধ্যেই তল্লাশি অভিযান চালান তাঁরা। তবে কলকাতা পুলিশের নার্কোটিক্স বিভাগের এক কর্তা জানাচ্ছেন, কোনও ওষুধের দোকান এই ধরনের ওষুধ বিনা প্রেসক্রিপশনে বিক্রি করছে কি না, তা দেখার কথা ড্রাগ কন্ট্রোলের।

তবে প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ধরনের ওষুধ কেউ বেশি পরিমাণে মজুত রেখেছেন জানতে পারলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এমনকি, গ্রেফতারও করা হয় বলেও দাবি করেন ওই কর্তা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Procession Medical Drug Addiction
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE