প্রতীকী ছবি।
বছর দুই হল এলাকা ভিত্তিক সম্পত্তিকর কাঠামো চালু হয়েছে কলকাতা পুর এলাকায়। কিন্তু প্রায় ৮ লক্ষ করদাতার শতকরা দশ ভাগও এতে যোগ দেননি। মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার বাজেট নিয়ে জবাবি ভাষণে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়ে দিলেন, নতুন এই কর কাঠামো যতক্ষণ না মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে, ততক্ষণ তা জোর করে চাপাতে তিনি রাজি নন। মেয়রের মত, মানুষের উপরে করের বোঝা বাড়িয়ে আয় বাড়ানো কোনও জনমুখী সরকারের লক্ষ্য হতে পারে না।
মঙ্গলবার বাজেট-বিতর্কের শেষ দিনে শাসক দলের পক্ষে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদারেরা স্বাস্থ্য, কর কাঠামো, পার্কিং ও জঞ্জাল অপসারণে পুরসভার কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন। পাল্টা বক্তব্যে বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিত, বামফ্রন্টের রত্না রায়মজুমদার এলাকা ভিত্তিক কর, বেআইনি নির্মাণ এবং জলাশয় বুজিয়ে নির্মাণে পুরবোর্ডের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন।
অধিবেশনে ফিরহাদ বলেন, ‘‘বেআইনি নির্মাণ টাকা দিয়ে আইনি করা যাবে না। এক জন গরিব মানুষ প্রয়োজনে ঘর তৈরি করলেন, তাতে ক্ষতি নেই। কিন্তু তেতলা বাড়ির উপরে আরও একটি তল নির্মাণ বরদাস্ত করা হবে না।’’ শহরের পরিবেশ সুস্থ রাখতে মেয়রের নিদান, ‘‘একটাও জলাশয় ভরাট করা চলবে না।’’
কলকাতার উন্নয়নে ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরি হচ্ছে বলেও এ দিন জানান ফিরহাদ। বলেন, ‘‘কোথায় রাস্তা হবে, কোথায় সেতু বা পার্ক হবে— সবই ঠিক করা হবে ওই পরিকল্পনায়। মাস্টার প্ল্যান ফলপ্রসূ করার জন্য একটি কমিটি তৈরি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy