Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বেসরকারি বাসের আংশিক ধর্মঘটে ভোগান্তির আশঙ্কা

উত্তর কলকাতার উল্টোডাঙা, জোড়াবাগান, বেলেঘাটা, শিয়ালদহ, বাগুইআটি-সহ করুণাময়ী, সেক্টর-৫ এর মতো বিস্তীর্ণ এলাকাতেও বেসরকারি বাস পরিবহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৩৩
Share: Save:

ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে বাসমালিকদের একাংশ পরিষেবা প্রত্যাহারের ডাক দেওয়ায় সোমবার থেকে ফের অটোর দৌরাত্ম্য বাড়ার আশঙ্কায় যাত্রীরা।

সল্টলেক এবং দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় সন্ধ্যার পর বাসের অভাবে অটোর জন্য যাত্রীদের প্রতীক্ষা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। এর মধ্যে টালিগঞ্জ, কবর়়ডাঙা, ঠাকুরপুকুর, বেহালা, খিদিরপুর, গড়িয়াহাট, গড়িয়া, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, রুবি, কসবা, পাটুলি, সন্তোষপুর,গড়িয়া স্টেশন, সোনারপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় বাস বন্ধ থাকার ফলে ঘোরতর সমস্যায় পড়তে পারেন অফিস ফেরত যাত্রীদের একটা বড় অংশ। দক্ষিণ শহরতলির এই সমস্ত জায়গায় সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে বেসরকারি বাসে যাতায়াত করেন বহু যাত্রী।

উত্তর কলকাতার উল্টোডাঙা, জোড়াবাগান, বেলেঘাটা, শিয়ালদহ, বাগুইআটি-সহ করুণাময়ী, সেক্টর-৫ এর মতো বিস্তীর্ণ এলাকাতেও বেসরকারি বাস পরিবহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বাস চললে সকালের দিকে ততটা অসুবিধা না হলেও সন্ধ্যার পরে বাস অমিল হলে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে মনে করছেন নিত্যযাত্রীদের বড় অংশ। যাত্রীদের চাপ বাড়লেই সন্ধ্যার পর থেকে কাটা রুটের রমরমা যথেচ্ছ বাড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। অটো নিয়ে সরকারি বিধিনিষেধ চালুর কথা বলা হলেও বাস্তবে যে তার কিছুই হয়নি, অটোর যাত্রী মাত্রেই তা জানেন।

বেহালা চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা জয়িতা রায় ময়দান এলাকায় একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী। মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর থেকে গত দেড় মাস ধরে মেট্রো এবং বাসে যাতায়াত করেন। এ দিন জয়িতা বলেন, “পরপর ৩ দিন সন্ধ্যা ৭টার পরে বেসরকারি বাস চলবে না ভেবেই অস্থির হয়ে যাচ্ছি। এমনিতেই এখন বাড়ি ফিরতে ঘণ্টাখানেক বেশি সময় লাগে।” একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ঠাকুরপুকুর, খিদিরপুর, সোনারপুর বা রুবি হয়ে যাতায়াত করা যাত্রীদের বড় অংশ।

রুবিতে এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করেন গড়িয়া স্টেশন এলাকার বাসিন্দা শৌনক মণ্ডল। এ দিন তিনি বলেন, “এমনিতেই ভিড় বাসে গাদাগাদি করে ফিরতে হয়। বাস বন্ধ থাকলে অটোয় বাঘা যতীন অথবা বালিগঞ্জ যেতে হবে ট্রেন ধরার জন্য। কতটা ঝক্কি পোহাতে হবে কে জানে। ”

ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে সোমবার থেকে পরপর ৩ দিন অফিসের সময় ছাড়া পরিষেবা বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস। ওই ঘোষণা অনুসারে সকালে ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এবং বিকেলে ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাস চালাবেন বেসরকারি বাসের মালিকেরা।

এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে সরকার। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে সোমবার সকাল থেকেই দফতরের কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বাস নামানো হবে। যে সব বাসমালিক পারমিট থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় বাস চালাবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে। শনিবার পরিবহণ ভবনে দফতরে জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Busa Strike Suffer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE