প্রতীকী ছবি।
শুধু আন্দোলন বা বিক্ষোভ নয়, এ বার বাঙালির উৎসবেও শরিক হচ্ছে ফেসবুক। এত দিন ফেসবুককে ব্যবহার করে নানাবিধ প্রচার চালিয়েছে পুজো কমিটিগুলি। কিন্তু এ বার শহরের একটি পুজো কমিটি গাঁটছ়়ড়া বেঁধেছে মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থার সঙ্গে। পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘সোশ্যাল মিডিয়া পার্টনার’।
পুজো ময়দানের খবর, বালিগঞ্জ কালচারালের পুজোর মুহূর্ত এ বার ‘লাইভ’ হিসেবে ধরা পড়বে ফেসবুকে। ‘#বিশ্বপুজো’ লিখলেই পুজোর খবর মিলবে। ফেসবুক লাইভও করবেন পুজোকর্তারা। সভাপতি অমিতাভ সিংহ বলছেন, ‘‘খেলা বা অন্য পাঁচটা অনুষ্ঠানের মতোই পুজোকেও আর ভৌগোলিক গণ্ডির মধ্যে বেঁধে রাখা উচিত নয়। এই উদ্যোগ শুধু বাঙালির কাছে নয়, পৃথিবীর কাছে কলকাতার উৎসবকে তুলে ধরবে।’’ ইনস্টাগ্রামকেও হাতিয়ার করছেন তাঁরা। পুজোমণ্ডপে ভিডিও এবং সেলফি বুথ নিয়ে হাজির থাকবে ফেসবুকের টিম।
তবে গাঁটছ়ড়া না বাঁধলেও ফেসবুককে নতুন ভাবে হাতিয়ার করতে চাইছে টালার সরকার বাগান সম্মিলিত সঙ্ঘ। পুজো কমিটির সদস্য দেবজ্যোতি দে বলছেন, ‘‘চতুর্থীর দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ফেসবুকে লাইভ হবে। থিম ‘নারী’। বোধনের সন্ধ্যায় পাড়ার মেয়েরা ফেসবুক লাইভে আ়ড্ডা দেবে। পুজোকে বড় পরিসরে ছড়িয়ে দিতেই এই আয়োজন।’’ তিনি জানান, ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম নিয়ে দর্শনার্থীদের সঙ্গেও চমক থাকছে।
কলকাতার পুজোর ‘গৌরী সেন’ এখন কর্পোরেট সংস্থারাই। কে কোন সংস্থার কত স্টল, গেট নেবে তা নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। কোথায়, কী ভাবে একটু বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়, তা নিয়ে মাথার চুল ছেঁড়েন পুজোকর্তারা। পুজোয় ফেসবুকের অংশীদারিকে তাই ভিন্ন ভাবেই দেখছেন বিপণন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের মতে, অদূর ভবিষ্যতে ডি়জিট্যাল বিজ্ঞাপনও পুজোয় শামিল হতে পারে। সে দিক থেকে বদলে যেতে পারে পুজোর আর্থিক জোগানের সংজ্ঞাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy