মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।— ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো কমিটিগুলিকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন আগেই। এ বার হাওড়ার পুজোগুলিকে আরও ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করল হাওড়া পুরসভা ও দমকল দফতর। সোমবার বিকেলে হাওড়ার শরৎ সদনে প্রাথমিক সমন্বয় সভায় হাওড়া পুরসভার পক্ষে ঘোষণা করা হল, এতদিন প্যান্ডেলের জন্য যে ফি নেওয়া হত, তা সম্পূর্ণ মকুব করে দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, দমকল দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাওড়া শহরে পুজোর অনুমতি নিতে গেলে দমকলকে আর কোনও ফি দিতে হবে না পুজো উদ্যোক্তাদের।
প্রতি বছরের মতো এ দিন হাওড়া সিটি পুলিশের পক্ষ থেকে শহরের পুজো উদ্যোক্তাদের নিয়ে সমন্বয় বৈঠকের আয়োজন করা হয় শরৎ সদনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী তথা মধ্য
হাওড়ার বিধায়ক অরূপ রায়, পুলিশ কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরী, হাওড়া পুরসভার ডেপুটি মেয়র মিনতি অধিকারী-সহ পুরসভার একাধিক মেয়র পারিষদ ও পদস্থ পুলিশকর্তারা। এ দিন ওই মঞ্চ থেকেই কর নির্ধারণ দফতরের মেয়র পারিষদ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুরসভা প্রতি বছর প্যান্ডেল বাবদ দৈনিক যে তিন টাকা বর্গফুট হিসেবে নিত, তা আর দিতে হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ শান্তনুবাবু জানান, এই ফি বাবদ গত বছর সাড়ে দশ লক্ষ টাকা পুরসভার আয় হয়েছিল। এ বার থেকে তা মুকুব করে দেওয়া হল।’’ একই ভাবে ওই মঞ্চ থেকে দমকলের পক্ষে জানানো হয়, ক্লাবগুলিকে পুজোর জন্য আলাদা করে কোনও ফি দিতে হবে না। তবে পুজোর অনুমতি পেতে সমস্ত পদ্ধতি মেনে চলতে হবে।
এ দিনের সমন্বয় বৈঠকে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার জানান, কলকাতার ধাঁচে হাওড়াতেও দুর্গোৎসবের বিসর্জন কার্নিভাল করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে কথা বলা হবে। হাওড়া সিটি
পুলিশের ডিসি (সদর) রণেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হাওড়া কমিশনারেট এলাকায় এ বার মোট পুজোর সংখ্যা প্রায় ৭৫২টি। ঠাকুর ভাসান দেওয়া যাবে ১৯, ২০ ও ২১ অক্টোবর। হাওড়ার ১৩টি নির্দিষ্ট ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন করা যাবে। ভাসানে ডিজে ব্যবহার করা যাবে না। একই সঙ্গে গত বছরের মতো রাস্তার উপরে তোরণ তৈরিতে নিষেধাজ্ঞাও বহাল থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy