নিউ সেক্রেটারিয়েট বা নব মহাকরণের আগুন নিভে গিয়েছে। কিন্তু সেই অগ্নিকাণ্ডের জেরে এখনও বেজায় নাজেহাল হতে হচ্ছে আলিপুরের আবহাওয়া দফতরকে। কালবৈশাখীর উপরে নজরদারি চালাতেও রীতিমতো কসরত করতে হচ্ছে তাদের।
শুক্রবার সকালে আগুন লেগেছিল নব মহাকরণে জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দফতরে। তার পরেই বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় ওই বিশাল ভবনের একটা বড় অংশে। সেই জন্যই সমস্যায় পড়েছে আবহাওয়া দফতর। তারা জানায়, কালবৈশাখীর উপরে নজর রাখার জন্য তাদের মূল হাতিয়ার ডপলার-রেডার এবং সেটি বসানো রয়েছে নব মহাকরণ ভবনের মাথায়। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ থাকায় সেটি কাজ করছে না। তার ফলে কালবৈশাখীর উপরে নজরদারিতে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানান, রেডার কাজ না-করায় এখন ভরসা শুধু উপগ্রহ-চিত্র। হঠাৎ হঠাৎ তৈরি হওয়া কালবৈশাখীর মেঘের উপরে নজর রাখা হচ্ছে তার সাহায্যেই। কিন্তু রেডার এই কাজটি যত নিখুঁত ভাবে করে, উপগ্রহ-চিত্রের কাছ থেকে সেটা পাওয়া যায় না। আবহবিজ্ঞানীরা জানান, কোথায় কত বড় মেঘ তৈরি হচ্ছে, ঠিক কত গতিবেগ নিয়ে ছুটে আসছে ঝড় এবং কখন কোথায় তা আছড়ে পড়বে— এ-সবই রেডারে নির্দিষ্ট ভাবে জানা যায়। উপগ্রহ-চিত্র তত নিখুঁত তথ্য দিতে পারে না।
বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে কবে আবার কাজ করবে ডপলার-রেডার? প্রশাসনের একাংশ বলছে, ১৬ এপ্রিলের আগে নিউ সেক্রেটারিয়েট ভবন পুরোদমে চালু করা যাবে না। তা হলে কি তত দিন রেডার-ছবি পাবেন না আবহবিজ্ঞানীরা? প্রশাসন বা হাওয়া অফিস, কেউই এই প্রশ্নের সদুত্তর জানে না। আবহাওয়া দফতরের এক কর্তা এ দিন শুধু বলেন, ‘‘পরিস্থিতি বিচার করে আমরা আগামী কয়েক দিন গোটা দক্ষিণবঙ্গেই কালবৈশাখীর সতর্কতা জারি করে দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy