জল জমেছে এজেসি বসু রোড উড়ালপুলে। সোমবার। ছবি: রণজিৎ নন্দী
সকাল থেকেই অস্বস্তিকর গরমে নাজেহাল ছিলেন মহানগরবাসী। বিকেলে তাঁদের স্বস্তি এনে দিল এক টুকরো মেঘ! আলিপুর হাওয়া অফিসের খবর, কলকাতার উপরে তৈরি হওয়া বজ্রগর্ভ উল্লম্ব মেঘের সৌজন্যেই সোমবার বিকেলে জোরালো বৃষ্টি হয়েছে কলকাতায়। তার ফলেই এক লপ্তে তাপমাত্রা কমে গিয়েছে। রাতে ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়ায় নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পেরেছেন মানুষজন।
আবহাওয়া দফতরের হিসেবে, কলকাতায় বর্ষা আসতে এখনও মাস খানেক বাকি। কিন্তু গত সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু দানা বাঁধার পর থেকেই বর্ষার মেজাজ হাজির হয়েছিল কলকাতায়। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল স্বাভাবিকের নীচে। দফায় দফায় বৃষ্টিও হচ্ছিল। আবহবিদেরা অবশ্য জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেই ছদ্ম-বর্ষার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শনিবার রোয়ানু বাংলাদেশে আছড়ে পড়ার পর থেকেই ভোল বদলেছিল আবহাওয়া। শহরে পারদ চড়তে শুরু করেছিল রবিবার থেকেই।
রেডার ও উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে আবহবিদেরা জানান, ঘূর্ণিঝ়়ড়ের প্রভাব কাটলেও কলকাতার বাতাসে জলীয় বাষ্প ছিলই। পারদ চ়ড়তেই সেই জলীয় বাষ্প গরম হয়ে বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তরে উঠতে শুরু করে। বায়ুমণ্ডলের উপরিস্তরে তাপমাত্রা কম থাকায় সেই জোলো হাওয়া দ্রুত ঘনীভূত হয়ে বজ্রগর্ভ উল্লম্ব মেঘ তৈরি করে। তা থেকেই এ দিনের বৃষ্টি। সারাদিনে যার পরিমাণ ৫৬.২ মিলিমিটার।
আবহবিজ্ঞানীদের অনেকে বলছেন, গরম থেকে এই রেহাই সাময়িক হতে পারে। আজ, মঙ্গলবার সকালেই ফের পারদ চড়তে পারে। বাতাসে বাড়তি আর্দ্রতার জেরে ফিরতে পারে প্যাচপ্যাচে গরম। অস্বস্তি পোহাতে হতে পারে মানুষজনকে। আবার সেই বেশি তাপমাত্রা এবং বাড়তি জলীয় বাষ্পের জন্য তৈরি হতে পারে বজ্রগর্ভ মেঘ। এনে দিতে পারে স্বস্তি। তেমনটা হবে কি? সেই আশাতে বুক বেঁধেছে মহানগরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy