প্লাস্টিক নির্মূল করা কার্যত অসম্ভব। বরং এর বিপদকে সামাল দিতে উন্নত পরিকল্পনা প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার মার্কিন তথ্যকেন্দ্রের (আমেরিকান সেন্টার) এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানালেন মার্কিন পরিবেশবিজ্ঞানী জেনা জ্যামবেক। তাঁর মতে, প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করা অসম্ভব। অথচ এটি পরিবেশের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই পরিকল্পনা করে দূষণ রোধ জরুরি। কিন্তু এ রাজ্যে সেই পরিকল্পনা কতটা এগিয়েছে, তা নিয়ে সন্দিগ্ধ পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, সরকার পরিকল্পনা ঘোষণা করলেও তার রূপায়ণ হয় না।
প্লাস্টিকের বিপদ অবশ্য হাড়ে হা়ড়ে জানে কলকাতা। ফি বর্ষায় বিভিন্ন নিকাশি নালা আটকানোর পিছনে প্লাস্টিকের ব্যাগই দায়ী বলে পুরকর্তা এবং পরিবেশবিদদের অভিমত। এ ছাড়াও রয়েছে প্লাস্টিকের থালা, চামচ, বাটির মতো জিনিস। সে সব পচেও না। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, শহরতলি এবং মফস্সলের কিছু পুরসভা প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগে রাশ টানলেও কলকাতা আজও সে কাজে ব্যর্থ।
জেনার মতে, প্লাস্টিকের বিপদ থেকে মুক্তি পেতে বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং প্লাস্টিক-বর্জ্যের পুনর্ব্যবহারে জোর দিতে হবে। বস্তুত এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসে রাষ্ট্রপুঞ্জের বার্তা ছিল, ক্যারিব্যাগের মতো এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বাড়াতে হবে প্লাস্টিকের পরিবেশবান্ধব ‘বিকল্প’-এর ব্যবহার।
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্রও বলেন, ‘‘বর্তমান সময়কে প্লাস্টিক যুগ বললে অত্যুক্তি হবে না। তাই প্লাস্টিক-বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারের উপরে জোর দেওয়া প্রয়োজন।’’ তাঁর মতে, বিকল্প শক্তির উৎস হিসেবে প্লাস্টিক-বর্জ্য উপযোগী। ইউরোপে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হয়নি। বরং তার পুনর্ব্যবহারে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্লাস্টিকের বোঝা কমাতে মহানগরী কী করছে? প্রশাসন সূত্রের খবর, নগরোন্নয়ন দফতর প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে। তবে ব্যবহৃত প্রযুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy