Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বন্ধ নেট, ব্যাহত গবেষণা

‘সেন্টার ফর হাই পারফর্ম্যান্স কম্পিউটিং ফর মডার্ন বায়োলজি’র গবেষক সৌপর্ণ অধিকারীর বক্তব্য, ‘‘ইন্টারনেট নিয়ে এই সমস্যা চলছে মাস ছয়েক ধরে। হাই স্পিড ইন্টারনেট না থাকলে এ ক্ষেত্রে কোনও কাজ করা সম্ভব নয়।’’

স্যমন্তক ঘোষ
শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৮ ০২:৪১
Share: Save:

বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ মাইক্রোবায়োলজির ‘সেন্টার ফর হাই পারফর্ম্যান্স কম্পিউটিং ফর মডার্ন বায়োলজি’। অভিযোগ, গত দু’দিন ধরে গবেষকেরা এলেও কোনও কাজ হচ্ছে না।
কারণ ইন্টারনেট পরিষেবা নেই। বিভাগের পড়ুয়াদের অভিযোগ, যে বিভাগ হাই স্পিড ইন্টারনেট ছাড়া চলেই না, সেখানে দু’দিন ধরে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় শিকেয় উঠেছে কাজ। কয়েক মাস ধরে এই সমস্যা চলছিলই। এখন একে বারে অকেজো অবস্থা। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।

‘সেন্টার ফর হাই পারফর্ম্যান্স কম্পিউটিং ফর মডার্ন বায়োলজি’র গবেষক সৌপর্ণ অধিকারীর বক্তব্য, ‘‘ইন্টারনেট নিয়ে এই সমস্যা চলছে মাস ছয়েক ধরে। হাই স্পিড ইন্টারনেট না থাকলে এ ক্ষেত্রে কোনও কাজ করা সম্ভব নয়।’’ অন্য গবেষক দেবায়ন দে-র বক্তব্য, ‘‘কেন ইন্টারনেট নেই জানি না। এ নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করা হলে, তাঁরা সমানে ঘোরাচ্ছেন।’’ অভিযোগ, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারকে ফোন করলে ইন্টারনেট পরিষেবা দেখভাল করে যে সংস্থা ওয়েবেল, তাদের আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সরাসরি ওয়েবেলে ফোন করলে বলা হচ্ছে, ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলতে।

বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসকয়েক আগে পাঠাগারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়েবেল সংস্থাকে। তার পরেই সমস্যা শুরু হয়েছে। ওয়েবেলের প্রোজেক্ট ম্যানেজার স্বপন চক্রবর্তীর দাবি, মাসখানেক হল তাঁরা সায়েন্স কলেজে কাজ শুরু করেছেন। এখনও তা চলছে। আগের ইন্টারনেট পরিষেবা খারাপ হওয়ায় এই সমস্যা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ার শুভাশিস সান্যাল জানান, যা বলার কলেজ কর্তৃপক্ষ বলবেন। কর্তৃপক্ষের দাবি, ওয়েবেলের কাজ নিয়ে তাঁরা অন্ধকারে। তাই এ নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।

ছাত্র, গবেষক, শিক্ষক এবং কর্মীদের অভিযোগ, প্রশাসনিক সমন্বয়ের এই অভাবের জন্য ভুগতে হচ্ছে তাঁদের। মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান সাগরময় ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থা অনাথ শিশুর মতো। তাই সামান্য ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়েও এত ভোগান্তি!’’ গবেষকদের অভিযোগ, ইন্টারনেটের অভাবে জরুরি প্রেজেন্টেশন আটকে। বহু যন্ত্র খারাপ হয়ে পড়ে। অথচ কেউ কোনও ব্যবস্থা করছেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE