বরানগরে আত্মঘাতী তরুণীর পরিজনদের সঙ্গে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
গোটা এক দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা বরাহনগরে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রীতম দেব। ইভটিজিংয়ে জেরবার হয়ে আত্মঘাতী হয় এক তরুণী। বহু দিন ধরেই তাকে উত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে প্রীতমের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ দিন ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে ধৃত চার মহিলার চার দিনের পুলিশি হেফাজত এবং বাকিদের দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
অভিযোগ, বহু দিন ধরেই ওই তরুণীর প্রতি অশালীন আচরণ করছে প্রীতম। অভিযুক্তের পরিবারকে বিষয়টি জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। উল্টে ওই তরুণীকেই অপমানিত হতে হয়েছে়। এর পর গত শনিবার গায়ে আগুন দেয় ওই তরুণী। রবিবার হাসপাতালে মারা যায় সে। এর পর থেকেই পলাতক প্রীতম।
সোমবার বরাহনগরের ফরোয়ার্ড কলোনিতে আত্মঘাতী তরুণীর বাড়িতে যান বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেন, “শাসক দলের মদতপুষ্ট না হলে কোনও দুষ্কৃতী এ ভাবে এত দিন ধরে দৌরাত্ব্য চালাতে পারে না।” এই ঘটনায় রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে প্রকৃত অপরাধীকে শাস্তির দাবিও জানান রূপা।
রূপার সঙ্গে এ দিন ছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং গৌতম সরকার। আত্মঘাতী তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে রুপা বলেন, “এক জন সাধারণ মানুষ হিসাবে, মা হিসাবে এখানে এসেছি।”
এর আগে এ দিন বরাহনগর থানায়ও যান রূপা। মূল অভিযুক্ত প্রীতমকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন দুপুরে ব্যারাকপুর এসিজেএম আদালতে ময়ূখ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে ধৃতদের তোলা হয়। ধৃতদের নাম রানা রায় ওরফে বুড়ো, শুক্লা কর, শিবানী রায়, কমল কর, পম্পা সরকার ও টুম্পা ভৌমিক। তাদের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে লাঞ্ছনার অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী অসীম দত্ত আদালতে ধৃতদের জামিনের আর্জি জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy