প্রতীকী ছবি।
সাইবার জগতে হামলা ঠেকাতে দাওয়াই তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞেরা। তা সত্ত্বেও ফাঁক গলে হামলা হয়েই চলেছে। এ বার তাই নিরাপত্তার সেই বেড়াজালকে ‘বুদ্ধিমান’ করে তুলতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। এ জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে কৃত্রিম মেধা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ও যন্ত্র বুদ্ধির (মেশিন লার্নিং) প্রযুক্তি।
সাইবার বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এত দিন ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস রুখতে যে সব ফায়ারওয়াল বা অ্যান্টিভাইরাস ছিল, তা কাজ করত নির্দিষ্ট গাণিতিক সূত্র বা কয়েকটি চেনা ছকের ভিত্তিতে। কিন্তু হ্যাকারেরা যে ভাবে নিত্যনতুন ভাইরাস বার করছেন, তাতে অনেক সময়েই নিরাপত্তার বেড়াজাল এড়িয়ে হামলা হচ্ছে। সেই কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা প্রয়োজন।
এক সাইবার নিরাপত্তা সংস্থার ভারতের কান্ট্রি ডিরেক্টর দেবাশিস মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, এই ধরনের সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তিতে ফায়ারওয়াল বা অ্যান্টিভাইরাসকে কৃত্রিম মেধা প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা উচিত। তাতে সম্ভাব্য বিপদ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চিনে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধ গড়তে পারবে। শুধু তাই নয়, নতুন ভাইরাস পেলে তার গঠনও বিশ্লেষণ করে নিজের মগজে ঠেসে নেবে এই নতুন ‘নিরাপত্তারক্ষী’। এ ভাবেই পদে পদে তার বুদ্ধিমত্তা বাড়বে।
সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, নিত্যনতুন ভাইরাস যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে সাইবার হামলার ঘটনাও। সাইবার হামলার ক্ষেত্রে কোনও সংস্থা বা সরকারের কম্পিউটার নেটওয়ার্ককে ‘পণবন্দি’ করে মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও বাড়ছে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে এই মুক্তিপণ আদায়ের প্রবণতা কম। দেবাশিসবাবুর কথায়, বিশ্বের সব থেকে দামি পণ্য এখন তথ্য। হ্যাকারেরা বিভিন্ন সংস্থা, প্রতিষ্ঠান এমনকি, গ্রাহকদের কম্পিউটারে হামলা করে তথ্য হাতিয়ে নেন এবং সেই তথ্য বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করেন। পৃথিবীতে যেহেতু তথ্য ভাণ্ডার ক্রমশ কম্পিউটার নির্ভর হচ্ছে এবং জনজীবনেও সাইবার প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে, তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থাও সুদৃঢ় থাকা প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy