প্রতীকী ছবি।
ঘুড়ির সুতো গলায় জড়িয়ে প্রাণ হারালেন এক স্কুটারচালক। ঘটনাস্থল এজেসি বোস ফ্লাইওভার। এর আগে চিনা মাঞ্জায় তৈরি ঘুড়ির সুতো গলায় জড়িয়ে একাধিক বার আহত হয়েছেন অনেক বাইক এবং স্কুটারচালক। প্রায় সব ক’টি ঘটনায় ঘটেছে এজেসি বোস উড়ালপুল এবং মা উড়ালপুলে। তবে গলায় চিনা মাঞ্জায় তৈরি সুতো জড়িয়ে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম আখতার খান (৪০)। তিনি খিদিরপুরের বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে সওয়া ৫ টা থেকে সাড়ে ৫ টা-র মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ জানতে পারে ফ্লাইওভারে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে রয়েছেন এক স্কুটার আরোহী। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে দেখা যায়, স্কুটার আরোহীর গলায় জড়িয়ে রয়েছে ঘুড়ির সুতো। সেই সুতো কেটে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই স্কুটার আরোহী পশ্চিম দিক থেকে অর্থাৎ হেস্টিংসের দিক থেকে পার্ক সার্কাসের দিকে যাচ্ছিলেন। পার্ক সার্কাস সাত মাথার মোড়ে উড়ালপুল থেকে নামার মুখেই তাঁর গলায় ঘুড়ির সুতো জড়িয়ে যায়। ফ্লাইওভারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছে, কেটে যাওয়া ঘুড়ি সুতো-সহ উড়ে যাচ্ছিল উড়ালপুলের উপর দিয়ে। পুলিশের অনুমান ফাঁকা রাস্তা থাকায় স্কুটারের গতি বেশি ছিল। চালক আখতার খানের মাথায় হেলমেট ছিল। কিন্তু সুতো গলার নীচের দিকে আটকে যায়। আটকে যাওয়া সুতো নিয়েই স্কুটার এগিয়ে যায় এবং ধারালো চিনা মাঞ্জার সুতো গলায় গভীর ভাবে ব্লেডের মতো কেটে বসে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গলায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছিল আখতারের। সেই ক্ষত থেকে বিপুল পরিমান রক্ত ক্ষরণ হয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন: লকডাউনে দোকান খুলতে চপার হাতে যুবকের তাণ্ডব, কড়েয়ায় বেধড়ক মার পুলিশকে
আরও পড়ুন: বাড়ছে না বাসের ভাড়া, নামছে ট্রামের সঙ্গে হাজার অ্যাপ ক্যাব, জানাল রাজ্য
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আখতার পেশায় গাড়ির চালক। বাড়ি খিদিরপুরের কবিতীর্থ সরণিতে। তিনি এ দিন কোথায় যাচ্ছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, উড়ালপুলের উপরেও রক্ত ক্ষরণের চিহ্ন রয়েছে। ঠিক কত ক্ষণ তিনি পড়ে ছিলেন তাও দেখছে পুলিশ। সিন্থেটিক সুতোর তৈরি এই চিনা ঘুড়ির সুতোর ব্যবহার কলকাতায় নিষিদ্ধ। এর আগেও এই সুতো আটকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছেন একাধিক বাইক আরোহী। কিন্তু তার পরও এই সুতোর ব্যবহার ব্যাপক ভাবে চলছে শহরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy