প্রতীকী ছবি।
ন’বছর আগে সালাউদ্দিন নামে এক পরিবহণ ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় এক মহিলা ও তার সঙ্গীকে বুধবার যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দিল শিয়ালদহ আদালত। সরকারি কৌঁসুলি বরুণ দত্ত জানান, অতিরিক্ত জেলা বিচারক চিন্ময় চট্টোপাধ্যায় ওই ঘটনায় মিলি পাল ওরফে কাজল ও তার সঙ্গী অজয় সেন ওরফে বাপিকে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন), ৩৯৪ (লুট)-সহ একাধিক ধারায় যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছেন। অজয় অস্ত্র আইনেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।
২০১১ সালের ১৯ জুন রাতে বৌবাজারের বাসিন্দা, সালাউদ্দিন ওরফে ধান্নু ভাই গুলিবিদ্ধ হয়ে গাড়ি চালিয়ে সোজা ঢোকেন উল্টোডাঙা থানায়। তৎকালীন ডিউটি অফিসার দ্রুত বিষয়টি জেনে তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। খুনের তদন্তে নেমে লালবাজারের হোমিসাইড বিভাগ জানতে পারে, সালাউদ্দিন যে জায়গায় গুলিবিদ্ধ হন, সেখানে তাঁকে গাড়িতে গুলি করে এক তরুণী ও এক ব্যক্তিকে নেমে যেতে দেখা গিয়েছে। গাড়ি থেকে মিলেছিল কৈখালির কাছের একটি পানশালার ওই দিনের বিল। তদন্তে জানা যায়, নিয়মিত ওই পানশালায় যাওয়ার সূত্রে মিলির সঙ্গে সালাউদ্দিনের ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল। অজয়ের সঙ্গে আগেই আলাপ ছিল সালাউদ্দিনের। ওই রাতে মিলি ও অজয় ছিল সালাউদ্দিনের সঙ্গে।
তদন্তে আরও জানা যায়, সালাউদ্দিনকে খুন করার আগে তাঁর থেকে দামি ঘড়ি, সোনার চেন, আংটি, মানিব্যাগ-সহ একাধিক জিনিস লুট করা হয়েছিল। সেই সময়ে সালাউদ্দিনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির মাঝেই গুলি করে অজয়। হোমিসাইড ও গুন্ডাদমন শাখার যৌথ দল বীরভূমের মুরারইতে হানা দিয়ে মিলি ও অজয়কে পাকড়াও করে।
সালাউদ্দিনের কাছে যে সব সময়েই প্রচুর টাকা থাকত কয়েক দিনের পরিচয়ে মিলি জেনে গিয়েছিল। অন্য দিকে অজয়ের বাজারে প্রচুর দেনা ছিল। তাই দু’জনে সালাউদ্দিনকে লুট করার ছক কষে। সেই সময়ে ধস্তাধস্তিতে গুলি করে দেয় অজয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy