Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিশুদের শুশ্রূষায় পাশে দাঁড়াতে সঙ্গীত-সন্ধ্যা শহরে

ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। তার চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করছিলেন পরিজন-পরিচিতেরা। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় মৃণালিনী দাশগুপ্ত নামে ওই শিশুর।

মৃণালিনী ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে শিশুরা। নিজস্ব চিত্র

মৃণালিনী ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারে শিশুরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪০
Share: Save:

ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ২০১৫ সালে। তার চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় করছিলেন পরিজন-পরিচিতেরা। কিন্তু চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় মৃণালিনী দাশগুপ্ত নামে ওই শিশুর। আমেরিকার বাসিন্দা এক শুভানুধ্যায়ী এর পরে চিকিৎসার জন্য সংগ্রহ করা টাকা দান করে দেন হাসপাতালকেই। ৩৫ লক্ষ টাকার সেই প্রাথমিক অনুদান নিয়ে শুরু হয় কাজ। এগিয়ে আসেন আরও অনেকে। শেষে প্রায় দু’-আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয় ১২ শয্যাবিশিষ্ট শিশুদের ক্যানসারের চিকিৎসা কেন্দ্র— ‘মৃণালিনী ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’। ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ-এর অন্তর্গত এই কেন্দ্রটির উদ্বোধন হয় ২০১৭ সালের শেষের দিকে। সেটিরই পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে এ বার আয়োজন করা হয়েছে একটি অনুষ্ঠানের। আজ, রবিবার, জি ডি বিড়লা সভাগারে ওই অনুষ্ঠানে সরোদ পরিবেশন করবেন আমান আলি খান।

ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ-এর অধিকর্তা, চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ জানান, শিশুদের ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রটি তৈরি করতে গিয়ে তাঁরা অনুভব করেছেন, সেটির আরও আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। তি‌নি বলেন, ‘‘শিশুদের চিকিৎসার জন্য আমাদের অলাভজনক সংস্থা বহু সহৃদয় মানুষের সাহায্য পায়। কিন্তু ক্যানসারের মতো রোগের চিকিৎসা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যয়বহুল। তাই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন।’’

ক্যানসার সেন্টারের মতোই সামান্য পুঁজি নিয়ে পথ চলা শুরু করেছিল ওই ইনস্টিটিউটের অধীন ‘নিবেদিতা সেন্টার ফর স্পেশ্যাল চিল্ড্রেন’। তৎকালীন অধিকর্তা, চিকিৎসক শিশিরকুমার বসু চেয়েছিলেন, হাসপাতালের মধ্যেই তৈরি হোক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটি স্কুল। একটি মাত্র ঘরে শুরু হওয়া সেই স্কুলে এখন রয়েছে আধুনিক প্রশিক্ষণ এবং কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের স্বর্নিভরতা ও সামাজিক মেলামেশার পাঠ দেওয়া হয় সেখানে। যথাসম্ভব কম খরচে ওই শিশুদের পড়াশোনা এবং থেরাপির ব্যবস্থাই শুধু নয়, সেখানে তাদের দেওয়া হয় দুপুরের খাবারও। এই অনুষ্ঠান থেকে সংগৃহীত অর্থে কেনা হবে সেন্টারে আসা অটিস্টিক শিশুদের থেরাপির জন্য আধুনিক সরঞ্জাম। স্কুলের ফি আরও কমানোর চেষ্টাও করা হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়াও ইনস্টিটিউটের মালবিকা থ্যালাসেমিয়া ইউনিটে ব্লাড ট্রান্সফিউশনের পরিকাঠামোকে উন্নত করার পরিকল্পনাও রয়েছে। অপূর্ববাবু বলেন, ‘‘এই কাজে ইতিমধ্যেই আমরা পাশে পেয়েছি বহু শুভানুধ্যায়ীকে। তাঁরা আমাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন। তাঁদেরই সহায়তায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cancer Research Center Singing Program
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE