Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Diwali 2019

দিওয়ালির রাতে দূষণ, শীর্ষে সিঁথি, দুইয়ে যাদবপুর

পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতার রবীন্দ্রভারতী, রবীন্দ্র সরোবর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ফোর্ট উইলিয়াম সংলগ্ন এলাকা এবং যাদবপুরের পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত খারাপ।

সতর্কতা সত্ত্বেও রাশ টানা গেল না শব্দবাজিতে। ছবি: পিটিআই।

সতর্কতা সত্ত্বেও রাশ টানা গেল না শব্দবাজিতে। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯ ১৫:৩৮
Share: Save:

বাজির তাণ্ডবে দিওয়ালির রাতেও দূষণ অব্যাহত রইল শহর কলকাতা ও তার আশেপাশের এলাকায়। সোমবার রাতে তিলোত্তমার অধিকাংশ এলাকায় বাতাসের গুণগত মান হয়ে দাঁড়াল ‘খুব খারাপ’। কিন্তু সবাইকে টেক্কা দিয়ে বাতাসের গুণগত মান সবচেয়ে খারাপের শিরোপা জিতে নিল সিঁথি। বাজি পোড়ানোর জেরে বিষাক্ত ধোঁয়ায় বিটি রোডে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় বাতাসের গুণগত সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই)৩০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল, স্বাস্থ্যের পক্ষে যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। আবার এই এলাকায় বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার মাত্রা পার্টিকল ম্যাটার ১০ বা পিএম ১০ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ১৬৫৭.৭০ মাইক্রোগ্রাম, যা সহনশীল মাত্রার চেয়ে ১৬ গুণ বেশি।

পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কলকাতার রবীন্দ্রভারতী, রবীন্দ্র সরোবর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ফোর্ট উইলিয়াম সংলগ্ন এলাকা এবং যাদবপুরের পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত খারাপ। এই সমস্ত এলাকায় একিউআই নেমে যায় যথাক্রমে ৩৫২, ৩০৭, ৩০৪, ৩২৩, এবং ৩৩০-এ। একিউআই ৩০০-র নীচে ছিল হাওড়ার ঘুসুরি এবং বেলুড়মঠ সংলগ্ন এলাকাতেও।

পরিস্থিতি ‘খারাপ’ ছিল উত্তর ২৪ পরগণার সল্টলেক, হাওড়ার বাউড়িয়া, দার্জিলিঙের শিলিগুড়ি এবং দক্ষিণ কলকাতার বিড়লা মিউজিয়াম সংলগ্ন এলাকায়। এই সমস্ত এলাকায় একিউআই ছিল যথাক্রমে ২৬২, ২৬০, ২৪০ এবং ২৪৭। একিউআই ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করলে, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকুল বলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন: জোর চমক ভাইফোঁটায়! বৈশাখীকে সঙ্গে নিয়ে মমতার বাড়িতে শোভন​

অন্য দিকে, বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার নির্ধারিত মাত্রা (পিএম ১০) প্রতি ঘনমিটারে ১০০ মাইক্রোগ্রাম হলেও, প্রায় সর্বত্রই তা সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। রবীন্দ্র সরোবর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল সংলগ্ন এলাকায় প্রতি ঘনমিটারে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১০০০.৭০ এবং ৬১৭.০০ মাইক্রোগ্রাম। প্রতি ঘনমিটারে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ ৯২৩.৪৯ মাইক্রোগ্রাম ছিল ফোর্ট উইলিয়ামে। যাদবপুরে ১১১০.৮৭ মাইক্রোগ্রাম। হাওড়ার বেলুড় মঠ ও ঘুসুরিতে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১০৫৯.২৩ এবং ১৮৯৩. ৯০ মাইক্রোগ্রাম।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আরও পড়ুন: আমিই ৫ বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছি, মহারাষ্ট্রে দড়ি টানাটানির মধ্যেই বললেন ফডণবীস, সেনা অনড়ই​

আগেভাগে সতর্কতা সত্ত্বেও এই পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তা বেড়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের। বাজি ফাটানো মিটে গেলেও, দূষণের প্রভাব কাটতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE