কাজ চলছে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
বৃষ্টির জেরে মাঝেমধ্যেই ব্যাহত হচ্ছে কাজ। তবে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে এ বছর কালীপুজোতেই চালু হয়ে যাবে স্কাইওয়াক। শনিবার দক্ষিণেশ্বরে প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
২৯ মে উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, চলতি বছরের শেষে নয়, দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের কাজ শেষ করতে হবে কালীপুজোর মধ্যেই। এ দিন পুরমন্ত্রীও জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই এগোচ্ছে কাজ। আগের থেকে কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। কেএমডিএ-র আধিকারিকেরাও কালীপুজোর মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। ফিরহাদ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ইচ্ছে কালীপুজোর মধ্যেই স্কাইওয়াক চালু করার। যাতে পুজোর সময়ে সাধারণ মানুষ তা ব্যবহার করতে পারেন। উৎসবের মরসুমে রাজ্যবাসীর জন্য এটা উপহার আমাদের তরফে।’’
২০১৫-র মার্চ মাসে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার পরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ঢোকার মূল রাস্তা রানি রাসমণি রোডের দু’ধারের দোকান সরানোর ক্ষেত্রে তৈরি হয় আইনি জটিলতা। প্রায় এক বছর ধরে রাজ্য প্রশাসন ও দোকানদারদের মধ্যে চাপান-উতোর চলার পরে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু হয়।
মাটির তলার পাইলিংয়ের কাজের পরে এখন স্কাইওয়াকের কাঠামোর কাজ শুরু করেছে নির্মাণকারী সংস্থা। এসেছে ক্রেন, জয়েস-সহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীও। প্রশাসন সূত্রের খবর, পোস্তায় সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ার পর থেকেই রাসরকার সেতু তৈরির বিষয়ে অতিরিক্ত সজাগ। তাই স্কাইওয়াক তৈরিতে গুণগত মান নিয়ে কোনও আপস করতে নারাজ সরকার। সে কারণেই স্কাইওয়াকের প্রতিটি নকশা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা ‘রাইটস’কে দিয়ে অনুমোদন করিয়ে তবেই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে।
নির্মাণকারী সংস্থা সূত্রে খবর, কাজ দ্রুত গতিতে হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে রয়েছে সমস্যা। যেমন বালির দিক থেকে এসে স্কাইওয়াকে ওঠার জায়গা, ফায়ার কন্ট্রোল রুম, বিদ্যুতের ঘরের মতো কিছু নির্মাণের জন্য জমির প্রয়োজন ছিল। সম্প্রতি সেখান থেকেও ঘরবাড়ি খালি করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। স্কাইওয়াক তৈরির জন্য এখনও মাটি খুঁড়ে যেটুকু কাজ বাকি রয়েছে, তা করতে গিয়ে গঙ্গার জল উঠে আসছে। তার সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিও সমস্যা তৈরি করছে। তবে এতে আটকে নেই কাজ।
অন্য দিকে, প্রশাসন সূত্রে খবর, দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে যে রাস্তাটি স্কাইওয়াকের সঙ্গে জুড়বে, সেটিও রেলই তৈরি করে দেবে। দক্ষিণেশ্বর স্টেশন থেকে মন্দিরের সিংহদুয়ার পর্যন্ত যাবে স্কাইওয়াক। সাড়ে পাঁচ মিটার উঁচু, ৪০০ মিটার লম্বা ও ১০ মিটার চওড়া স্কাইওয়াকের উপরে থাকবে হাঁটার জায়গা, দু’ধারে দোকান। নীচ দিয়ে চলবে শুধু যানবাহন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy