মেট্রোর সেন্ট্রাল স্টেশন। ছবি- টুইটার থেকে সংগৃহীত।
ষষ্ঠীর দুপুরেও মেট্রো বিভ্রাট। সওয়া ২টো নাগাদ দমদমগামী এসি মেট্রো রেকের ভেতরে যাত্রীরা ধোঁয়া দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে।
তত ক্ষণে সেন্ট্রাল স্টেশনে পৌঁছয় রেকটি। মোটরম্যানের কাছে খবর পেয়ে ছুটে আসেন মেট্রো কর্মী এবং আরপিএফ জওয়ানরা। দেখা যায়, একটি কামরার তলা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। ট্রেন খালি করে দিতে বলা হয় যাত্রীদের। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। তবে ভিড় খুব বেশি না থাকায় বড়সড় কোনও অঘটন ঘটেনি। বেলা ২টো ১৭ মিনিট থেকে ২ টো ৪৮ মিনিট পর্যন্ত আপ লাইনে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। পুজো দেখতে বেরিয়ে ভোগান্তির শিকার হন অসংখ্য যাত্রী।
মেট্রো কর্মীরা ধোঁয়ার উৎস খুঁজে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের দমকলের দফতর থেকে দু’টি ইঞ্জিন পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। ততক্ষণে আপ লাইনে বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। সেন্ট্রাল স্টেশনে টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- দরজা বন্ধ করতে গিয়ে নীচে পড়ে গেলেন বিমানসেবিকা
আরও পড়ুন- পুজোয় ঘুরতে ভরসা ধ্বস্ত নন এসি রেক
দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, একটি কামরার নীচে চাকার পাশ থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। তাঁরা আগুন নেভানোর আগেই মেট্রো কর্মীরাই সেই আগুন নিভিয়ে ফেলেন। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, কামরার আন্ডার গিয়ারে ঘর্ষণের কারণে আগুনের ফুলকি ছড়াতে শুরু করে। সেখান থেকেই আগুন এবং ধোঁয়া। মেট্রো কর্মীদের একাংশের দাবি, অনেক সময় ওই আন্ডার গিয়ারে বা রেকের তলায় প্লাস্টিক বা কাগজের মত বাইরের কিছু আটকে গেলে, থার্ড লাইনের সঙ্গে ঘর্ষণে আগুন লেগে যায়।
মেট্রো কর্মীদের এই দাবি মেনে নিলে, এই বিভ্রাটের পেছনে রেকের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবই মূল কারণ হিসাবে উঠে আসে। যদিও এ বিষয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেননি। তাঁরা জানিয়েছেন, এই বিভ্রাটে ৩১ মিনিট পরিষেবা বিঘ্নিত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy