সাগরিকা পাল
বৃদ্ধা মাকে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শনিবার এক ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম গোপাল পাল। অভিযোগ, সম্পত্তি হাতাতেই মায়ের উপরে অত্যাচার করা হচ্ছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, নেতাজিনগর রোডের বাসিন্দা, বৃদ্ধা সাগরিকা পালের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। দুই মেয়ে বিবাহিতা। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে সাগরিকাদেবী জানিয়েছেন, সম্পত্তি দখলের জন্য দুই ছেলে, গোপাল পাল ও সুদর্শন পাল তাঁর উপরে অত্যাচার চালাচ্ছেন। সাগরিকাদেবী বলেন, ‘‘আমার ছোট ছেলে সুদর্শন বাইরে থাকে। বড় ছেলে গোপাল থাকে পাশের বাড়িতে। পুজোর সময়ে দুই ছেলে মিলে জোর করে একটি কাগজে সই করিয়ে আমাকে দিয়ে সম্পত্তি লিখিয়ে নিতে চেয়েছিল। আমি রাজি না হওয়ায় ওরা আমাকে মারধর করেছে।’’
সাগরিকাদেবীর স্বামী বছর কয়েক আগে মারা গিয়েছেন। বড় মেয়ে প্রতিমা সাহার অভিযোগ, ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই দুই ভাইয়ের সঙ্গে মায়ের ঝামেলা চলছে। তাই আমরা দুই বোন মিলে মায়ের সংসার চালানোর জন্য টাকা পাঠাই। তা সত্ত্বেও মায়ের উপরে ভাইদের অত্যাচার থামছে না।’’
সাগরিকাদেবীর অভিযোগ, পুজোর আগে তিন আত্মীয়াও তাঁকে মারধর করেন। তাঁর অভিযোগ, দুই ছেলেকে ওই তিন আত্মীয়াই সম্পত্তির দখল নিতে উস্কানি দিয়ে চলেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে গত ১৬ ও ২৫ অক্টোবর, দু’দফায় নেতাজিনগর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন সাগরিকাদেবী। প্রতিমা বলেন, ‘‘মা যেখানে থাকেন, পুলিশের পরামর্শমতো শনিবার সেখানে একটা আলাদা দেওয়াল তৈরি করা হচ্ছিল। সেই সময়ে বড়দা এসে জোর করে কাজ থামিয়ে দেয়। মাকে মারধর করে।’’ বিকেলেই মেয়েদের সঙ্গে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন সাগরিকাদেবী। পুলিশ বড় ছেলে গোপাল পালকে গ্রেফতার করে।
এ দিন থানার সামনে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধার খেদোক্তি, ‘‘দুই ছেলে যে ভাবে আমাকে দিনের পর দিন অত্যাচার করেছে, তাতে খুবই কষ্ট পেয়েছি।’’ প্রতিমা বলেন, ‘‘সম্পত্তি দখলের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কাগজপত্রে সই করে দিতে মাকে চাপ দিচ্ছিল দাদারা। আমরা চাই, পুলিশ ওদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক।’’ সাগরিকাদেবীর ছোট ছেলে সুদর্শনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন বন্ধ ছিল। এসএমএস-এর জবাব আসেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy