প্রতীকী ছবি।
পাড়ার একটি ক্লাব পুজোর বাড়তি চাঁদা চায়। আর সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায়, বাড়িতে ওই ব্যক্তি মধুচক্র চালানোর অভিযোগ তুলে ব্যাপক মারধর করা হয়। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন সোনারপুরের বোসপুকুর এলাকার বাসিন্দা রবীন সর্দার। তাঁর আরও অভিযোগ, সোনারপুর থানার পুলিশও রীতিমতো মারধর করে তাঁকে। সোনারপুর থানার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বারুইপুরের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন রবীন।
পুলিশ সুপারকে লেখা অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, ২ অক্টোবর স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা তাঁর ভাড়া বাড়িতে এসে পুজোর চাঁদা চায়। রবীনের দাবি, “ক্লাব যে অঙ্কের চাঁদা চাইছিল তা আমি দিতে রাজি হইনি। সেখান থেকেই বচসার সূত্রপাত।”
রবীনের অভিযোগ, “এর পরই ওই স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা অভিযোগ তোলে যে আমি বাড়িতে দেহ ব্যবসা চালাই। তাঁরা সোনারপুর থানাতে খবর দেয়।” রবীন পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন, এর পরই পুলিশ এসে তাঁকে মারধর করে। এমনকি যৌনাঙ্গে লাথিও মারে। বাড়িতে উপস্থিত মহিলাদের সামনে তাঁকে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়।
শনিবার বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনেও পুলিশ কর্মীদের শাস্তি চেয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন রবীন।
আরও পড়ুন: অর্চনা খুনে নয়া মোড়: উদ্ধার আরও ১ বস্তাবন্দি দেহ, তিনিই কি সেই ঝাড়খণ্ডের প্রেমিক?
আরও পড়ুন: মালিক জানতেন না! ঝুঁকি নিয়ে কেন দেহ লোপাট করলেন অস্থায়ী কর্মীরা?
বারুইপুর জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “আমরা এ রকম একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, সোনারপুর থানা থেকে পুলিশ সুপারকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, ওই দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের ফোন পেয়ে তিন পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছন। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, এলাকার প্রচুর বাসিন্দা রবীনের বাড়ির সামনে জমায়েত করেছে। তাঁরা পুলিশকে অভিযোগ জানান, রবীন বাড়িতে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে। প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে। উত্তেজিত জনতা তার আগেই মারধর করেছে রবীনকে। পুলিশ কোনও মতে ওই উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রবীনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। না হলে রবীনকে জনতা আরও মারধর করত। রবীনকে উদ্ধার করে সকাল পর্যন্ত নিরাপদে থানায় রাখা হয়। তারপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, ওইদিন জনতার মধ্যে থেকে রবীনকে উদ্ধার করতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মীও আঘাত পেয়েছেন। সোনারপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, “রবীনকে আমরা অভিযোগ জানাতে বলেছিলাম। তিনি কোনও অভিয়োগ জানাননি। অন্য দিকে রবীনের বিরুদ্ধেও বাসিন্দারা কোনও অভিযোগ জানাননি।”
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy