আত্মঘাতী ছাত্রী মৌসুমী মিস্ত্রি।
ফেসবুকের ক্যামেরা চালিয়ে সোনারপুরে ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগে এ বার এক শিক্ষকের খোঁজ করছে পুলিশ। শনিবার ভোরে সোনারপুর থানার বৈদ্যপাড়ার বাড়ি থেকে মৌসুমী মিস্ত্রি (১৭) নামে এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। এক বন্ধু ও শিক্ষকের প্ররোচনায় ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে মৌসুমীর পরিবার।
সোমবার রাতেই সোনারপুর থানার খুড়িগাছি এলাকা থেকে ওই ছাত্রীর বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক। সোনারপুর থানা এলাকার একটি মেসে ভাড়া থাকতেন ওই শিক্ষক। ছাত্রীর পরিজনদের অভিযোগ, শনিবার রাতে আত্মঘাতী হওয়ার আগেও ওই শিক্ষককের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেছিল মৌসুমী। সকালে মৌসুমীর মোবাইলে ওই শিক্ষক নিজেই ফোন করেছিলেন। মৌসুমী সুস্থ রয়েছে কি না, তা ওই শিক্ষক জিজ্ঞেসও করেছিলেন বলে জানান মৌসুমীর বাবা। তদন্তকারীদের কথায়, ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে নিদিষ্ট করে দু’জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের মতে, মৌসুমীর এক বন্ধুকে গ্রেফতার করা হলেও ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে ওই শিক্ষক সুন্দরবন এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। তাই ওই সব এলাকাতেও খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। বারুইপুর জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, মৌসুমীর কয়েক জন বন্ধু ও প্রতিবেশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy