Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

জ্যোৎস্নায় ভাসছে ইকো পার্কের গ্রাম

নীল আকাশে মেঘের কোল থেকে নেমে আসা সবুজ আঁচলের স্নিগ্ধতা ঘেরা এমনই গ্রাম রয়েছে ইকো পার্কে। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, “ফ্ল্যাট কালচারে অভ্যস্ত ছেলেমেয়েরা অনেকেই গ্রাম দেখেনি। তাদের কাছে গ্রাম মানে, ট্রেনে-বাসে যেতে যেতে যেটুকু নজরে আসে সেটুকুই। আলাদা করে বাংলার গ্রাম দেখতে যাওয়ার সময় কোথায়? সে কারণেই তৈরি হয়েছে এই গ্রাম।”

গ্রামীণ: শহরের বুকে এক টুকরো স্নিগ্ধতা। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

গ্রামীণ: শহরের বুকে এক টুকরো স্নিগ্ধতা। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

আর্যভট্ট খান
শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৪
Share: Save:

সজনে গাছ দেখতে কেমন হয়? কেমন ভাবে মাচায় ফলে থাকে পটল? কুমড়োর সঙ্গে পরিচয় রয়েছে, কিন্তু তার ফুল আর পাতা দেখতে কেমন? অথবা গ্রামের মুদিখানার ভিতর কী ভাবে চলে পাঠশালা?

এ সবই দেখা যাবে কয়েক বিঘা জমি জুড়ে একটা আস্ত গ্রামে। তবে এ জন্য মোটেও দূরে যেতে হবে না, মিলবে কলকাতার মধ্যে। যেখানে ওই রাঙা মাটির পথ দিয়ে যেতে যেতে দেখা যায়, দু’ধারে ক্ষেতে ফলে ধান। হাল নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন চাষি। স্বামীর জন্য দুপুরের পান্তাভাত নিয়ে আসছেন চাষি-বৌ।

নীল আকাশে মেঘের কোল থেকে নেমে আসা সবুজ আঁচলের স্নিগ্ধতা ঘেরা এমনই গ্রাম রয়েছে ইকো পার্কে। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, “ফ্ল্যাট কালচারে অভ্যস্ত ছেলেমেয়েরা অনেকেই গ্রাম দেখেনি। তাদের কাছে গ্রাম মানে, ট্রেনে-বাসে যেতে যেতে যেটুকু নজরে আসে সেটুকুই। আলাদা করে বাংলার গ্রাম দেখতে যাওয়ার সময় কোথায়? সে কারণেই তৈরি হয়েছে এই গ্রাম।”

ইকো পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, গত ১৫ অগস্ট থেকে দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার গ্রাম’। লেকের ধারে প্রায় তিন একর জমির উপরে তৈরি হয়েছে এটি। দেবাশিসবাবুর মতে, দুর্গাপুজোয় অনেক সময়ে থিম প্যান্ডেল হিসাবে গ্রাম তুলে ধরা হয়। তবে তার স্থায়িত্ব কয়েক দিনের জন্য। ইকো পার্কের এই গ্রাম থাকবে সারা বছর। শুধু বাইরে থেকেই নয়, গ্রামের একচালা বাড়িতে ঢুকে দর্শকেরা দেখতে পারবেন, ভিতরটা ঠিক কেমন। শীতে বাড়ির দাওয়ায় বসে রোদ পোহাতে পারবেন, গ্রীষ্মে কলসির ঠান্ডা জল খেয়ে জিরিয়ে নেওয়া যাবে, পুকুরপাড়ে বসে হাওয়া খেতে পারবেন দর্শকেরা।

ইকো পার্ক কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, শুধু প্রকৃতি নয়। মডেলের সাহায্যে গ্রামজীবনের নানা দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে এখানে। গ্রামের বাজার, দাওয়ায় আড্ডার আসর অথবা গ্রামের মুদিখানায় কী ভাবে চলে স্কুল, সেটাও দেখানো হয়েছে। আদর্শ এক গ্রামকে তুলে ধরা হয়েছে ইকো পার্কে। যেখানে পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় ভরে যাবে মাঠঘাট, রাস্তা, ক্ষেত। দর্শকেরা ভাববেন, শহর থেকে বুঝি অনেক দূরে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা।

ইকো পার্কের এক আধিকারিক বলেন “এই পাঠশালা দেখলে বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালীর সেই পাঠশালার কথা মনে পড়তে বাধ্য। যেখানে রাগী পণ্ডিতমশাই দোকানের বেচাকেনার ফাঁকেই বেত হাতে পড়াচ্ছেন অপু আর অন্য পড়ুয়াদের।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Village HIDCO Eco Park
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE