শেষ বাঁশি না বাজা পর্যন্ত ময়দান ছাড়তে নারাজ রাজ্য সরকার। ফাইনালের আগে তাই নবান্নের শেষ চমক ফিফার প্রতিনিধি-সহ বিদেশি অভ্যাগতদের জন্য বাংলার ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের অনুষ্ঠান।
তবে কবে, কোথায় ওই অনুষ্ঠান হবে, তা নিয়ে এখনও রয়ে গিয়েছে ধোঁয়াশা। নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী ১৭ অক্টোবর ফিফা-র প্রতিনিধিদের একটি দল এ শহরে আসছেন। তাঁরা আসার পরেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছিল, ধ্রুপদী এবং লোকসঙ্গীতের সমন্বয়ে একটি নাতিদীর্ঘ অনুষ্ঠান সংগঠিত করা হবে। এখনও পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ ফাইনালের ঠিক দু’দিন আগে, ২৬ অক্টোবর ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। কিন্তু ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনুষ্ঠান করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওখানে অনুষ্ঠান করার অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাধা রয়েছে। সে কারণেই ‘প্ল্যান বি’ হিসেবে ইকো পার্কের কথা ভেবেছেন নবান্নের শীর্ষ কর্তারা। ফিফা-র প্রতিনিধিদের আপত্তি থাকলে অনুষ্ঠানের তারিখ ২৭ কিংবা ২৫-এ করা হতে পারে। তাই এখনও দিন চূড়ান্ত হয়নি বলেই জানাচ্ছেন কর্তারা। নবান্নের এক কর্তার কথায়, ‘‘কবে, কোথায় হবে, তা ১৭ তারিখের পরেই চূড়ান্ত করা হবে। কোন কোন শিল্পীকে আনা হবে, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হবে ১৭ তারিখের পরেই। তবে বিশ্বকাপের অতিথি-অভ্যাগতদের নিয়ে অনুষ্ঠান যে হবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।’’
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বের দরবারে কলকাতাকে তুলে ধরতে চায় রাজ্য সরকার। তাতে এ রাজ্যের ভাবমূর্তি বাড়ার পাশাপাশি, পর্যটন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে লগ্নির সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশা নবান্নের। এ কাজে সাফল্য আনতে ইউটিউব, ফেসবুকের মতো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে বিপুল প্রচার করেছে সরকার। দিল্লির ঢঙে কলকাতায় বিশ্বকাপের পৃথক ‘থিম সং’-ও তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।
এত কিছু করায় প্রাথমিক ধাপে শুধু পাশ মার্কসই নয়, র্যাঙ্কিংয়ে রীতিমতো উপরের দিকেই কলকাতা রয়েছে বলে দাবি করছেন নবান্নের শীর্ষ কর্তারা। এ বার শেষ বাজারে ফিফা কর্তাদের মুগ্ধ করে দিয়ে বাজিমাত করতে চান তাঁরা।
নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, ‘‘এক দিকে ২৪টি দেশ যেমন বিশ্বকাপ জেতার জন্য লড়ছে, তেমনই ছ’টি শহর লড়ছে বিশ্বের দরবারে নজর কাড়তে। সেগুলি হল, দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, কোচি, গুয়াহাটি এবং গোয়া। এর মধ্যে ‘হোস্ট’ হিসেব এখনও পর্যন্ত আমরাই এগিয়ে। শেষ ধাপে গিয়ে সঙ্গীত অনুষ্ঠান করে কলকাতার বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy