ফাইল চিত্র।
শহরের অন্যতম ঘিঞ্জি এলাকা খিদিরপুর। ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি যানজট এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান সমস্যা। যানজটের মূল কারণ বন্দর এলাকায় ঢোকা এবং বেরোনো বড় বড় ট্রেলার এবং ট্রাক। এই জটে আটকে অনেক সময়ে চূড়ান্ত হয়রানি হয় রোগীদেরও। নিত্য এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরে একটি উড়ালপুল তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
তাঁদের সেই চাহিদা অবশেষে মিটতে চলেছে। কেএমডিএ সূত্রে খবর, চার কিলোমিটার লম্বা এবং চার লেনের উড়ালপুল তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে। মার্চ মাসেই সেটি উদ্বোধন হওয়ার কথা। গার্ডেনরিচের ব্রুকলিন মোড় থেকে উড়ালপুলটি এসে নামবে মাঝেরহাটের সেতুর কাছে। পাশাপাশি, মেট্রো রেলের স্টেশনও তৈরি হচ্ছে মাঝেরহাটে। ফলে উড়ালপুল পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে ভবিষ্যতে মেট্রোর পাশাপাশি অন্য গণ পরিবহণেরও সুবিধা পাবেন নিত্যযাত্রীরা।
২০১৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খিদিরপুরে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখেছিলেন, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোডে তীব্র যানজট। ওই রাস্তাটি খিদিরপুর যাওয়ার প্রধান মাধ্যম। সে সময়েই এলাকার বিধায়ক তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম একটি উড়ালপুল তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান। সঙ্গে সঙ্গে সম্মতি দেন মুখ্যমন্ত্রীও।
উড়ালপুল তৈরির দায়িত্ব পায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা কেএমডিএ। তারাই কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইট্সকে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরির দায়িত্ব দেয়। তার পরেই কাজ শুরু হয়েছে। কেএমডিএ-র এক পদস্থ কর্তা জানান, উড়ালপুল তৈরির জন্য রাজ্য সরকার মঞ্জুর করেছে ৩৩৯ কোটি টাকা। জমি দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চার কিলোমিটার লম্বা এই উড়ালপুল তৈরির জন্য সময়সীমা ধরা হয়েছিল ৩০ মাস। কিন্তু ভূগর্ভস্থ জলের লাইন, বিদ্যুতের লাইন এবং
নিকাশি নালা সরিয়ে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, উড়ালপুল হয়ে গেলে যাতায়াতের পাশাপাশি বন্দর এলাকার কাজকর্মে গতি আসবে। মাল খালাস করা যাবে দ্রুত। গাড়ি চলাচলের গতিও বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy