Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

পরিস্রুত পানীয় জল নিয়ে রাজ্যের দাবি প্রশ্নের মুখে

এক দিকে শহরের নানা প্রান্তে লাইসেন্সহীন বিশুদ্ধ জলের ব্যবসা চলছে। অন্য দিকে মহানগরের উপান্তে বানতলা, মহিষবাথান, ভাঙড় এলাকার প্রায় ১৪ হাজার মানুষের কাছে পানীয় জলের উৎস ভেড়ি! মঙ্গলবার বিশ্ব জল দিবসে বণিকসভা ‘বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর এক অনুষ্ঠানে এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের জলবিজ্ঞানীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৬ ১৯:৫৭
Share: Save:

এক দিকে শহরের নানা প্রান্তে লাইসেন্সহীন বিশুদ্ধ জলের ব্যবসা চলছে। অন্য দিকে মহানগরের উপান্তে বানতলা, মহিষবাথান, ভাঙড় এলাকার প্রায় ১৪ হাজার মানুষের কাছে পানীয় জলের উৎস ভেড়ি! মঙ্গলবার বিশ্ব জল দিবসে বণিকসভা ‘বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর এক অনুষ্ঠানে এমনই জানিয়েছেন রাজ্যের জলবিজ্ঞানীরা। রাজ্য সরকার বিভিন্ন সময়ে দাবি করেছে, প্রত্যন্ত গ্রামেও পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু খাস কলকাতার কাছে বানতলা, ভাঙড়ের যে তথ্য জলবিজ্ঞানীরা দিয়েছেন তাতে রাজ্যের দাবির সত্যতা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে।

এ বছর রাষ্ট্রপুঞ্জ বিশ্ব জল দিবসের বিষয় স্থির করেছে, ‘ভাল জল, ভাল কাজ’। রাজ্যের আর্সেনিক টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান কুমারজ্যোতি নাথ বলেন, শুধু জলদিবস পালনের জন্য ‘জল বাঁচাও’ এই স্লোগান নয়, কী ভাবে মানুষকে কাজ করিয়ে জল বাঁচানোর প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হচ্ছে, এ বার সেটিই মুখ্য বিষয়। এ জন্য রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির আগ্রহও দরকার।

আরও পড়ুন- শৌচাগারে যেতে চাইলে বাড়ি পাঠায় স্কুল

২০১১ সালের পালাবদলের পর তৃণমূল সরকার এসে এ রাজ্যে জল সংরক্ষণের জন্য ‘জল ধরো, জল ভরো’ প্রকল্প শুরু করেছিল। কিন্তু এ রাজ্যে ভূগর্ভস্থ জলের সংরক্ষণের ব্যবস্থা আদৌ কতটা কার্যকরী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বিজ্ঞানীদের অনেকেই বলছেন, বিশুদ্ধ জলের ব্যবসা করে এমন বহু সংস্থারই কোনও লাইসেন্স নেই। অথচ যার জন্য প্রতি দিন ভূগর্ভ থেকে হাজার হাজার লিটার জল চুরি হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন পুরসভার সরবরাহ করা জলও কতটা স্বাস্থ্যকর তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কুমারজ্যোতিবাবু। জলদিবসের আলোচনাসভায় কুমারজ্যোতিবাবু ছাড়াও ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের কলকাতা শাখার সভাপতি হেমন্ত মজুমদার, বোস ইনস্টিটিউটের মলিকিউলার মেডিসিন বিভাগের প্রধান পরিমল সেন, ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের সহ-অধ্যাপক জিনিয়া মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। হাজির ছিলেন বণিকসভার সভাপতি গৌরপ্রসাদ সরকারও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE