Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
National Green Tribunal

কোভিড-বর্জ্য ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোগ্রাম, পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন

বর্জ্য সংগ্রহ ও তা নষ্টের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সবাই যাতে শারীরিক ভাবে সুরক্ষিত থাকেন, তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও পর্ষদ জানিয়েছে।

ছবি সংগৃহীত।

ছবি সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০ ০২:৫৩
Share: Save:

কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ও পুর এলাকা থেকে গত জুন পর্যন্ত মোট ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫৪৭ কিলোগ্রাম কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

বুধবার জাতীয় পরিবেশ আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার।

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য উল্লেখ করে সরকার জানিয়েছে, এর মধ্যে ৩ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭১৫ কিলোগ্রাম কোভিড-বর্জ্য এসেছে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে। বাকি ৮৩২ কিলোগ্রাম বর্জ্য এসেছে পুর এলাকা থেকে। কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহে রাজ্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, সেখানে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মান্য করা হচ্ছে কি না, এ দিনের শুনানি ছিল তা নিয়েই। রাজ্য সরকার ও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ পৃথক ভাবে তাদের হলফনামা দায়ের করেছে। যদিও এই বর্জ্যের পরিমাণ কম বলেই মত পরিবেশকর্মীদের একটি অংশের। তাঁদের প্রশ্ন, সারা রাজ্যে এত হাসপাতাল, কোয়রান্টিন কেন্দ্র, এতগুলি পুরসভা থাকা সত্ত্বেও কী করে এত অল্প পরিমাণ কোভিড-বর্জ্য উৎপন্ন হতে পারে!

এ দিনের হলফনামায় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানিয়েছে, কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহ ও তা নষ্ট করা নিয়ে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে জানানো হয়েছে। কোভিড-বর্জ্য নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিয়ম মান্য করার বার্তা পৌঁছে দিতে গত এপ্রিলেই পর্ষদ-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরের সঙ্গে রাজ্য সরকার বৈঠকও করে। সেখানেই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়ম মেনে কী ভাবে কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহ ও তা নষ্ট করা হবে, তার রূপরেখা স্থির হয়।

তথ্য দিয়ে পর্ষদ এ-ও জানায়, কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহ, তার প্রক্রিয়াকরণ ও নষ্ট করা নিয়ে সারা রাজ্যে এই মুহূর্তে ছ’টি ‘কমন বায়ো-মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট ফেসিলিটি’ (সিবিএমটিএফ) কাজ করছে। তাদের কাজের উপরে পর্ষদ নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছে এবং তাদের কাছ থেকে রিপোর্টও সংগ্রহ করা হচ্ছে। হোম কোয়রান্টিন থেকে বর্জ্য সংগ্রহের জন্য সিবিএমটিএফ-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই বর্জ্যের জন্য পৃথক হলুদ ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে। ওই ব্যাগেই কোভিড-বর্জ্য রাখার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। বর্জ্য সংগ্রহ ও তা নষ্টের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সবাই যাতে শারীরিক ভাবে সুরক্ষিত থাকেন, তা সুনিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও পর্ষদ জানিয়েছে।

যদিও মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত জানাচ্ছেন, অনেক আগে কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহ ও তা নষ্ট করার নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেক পুরসভা বহু দেরিতে কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। তাঁর কথায়, ‘‘রাজ্যের এত সংখ্যক কোভিড হাসপাতাল, এত সংখ্যক কোয়রান্টিন কেন্দ্র রয়েছে, তা ছাড়া হোম কোয়রান্টিনেও আছেন অনেকে। সেখানে কোভিড-বর্জ্যের পরিমাণ সব মিলিয়ে চার লক্ষ কিলোগ্রামও নয়! এটা কী করে সম্ভব হতে পারে?’’ অন্য এক পরিবেশকর্মীর বক্তব্য, ‘‘কোভিড সংক্রমণ নিয়েই যেখানে সাধারণ মানুষ সচেতন নন, সেখানে কোভিড-বর্জ্য নিয়ে আর কতটা সচেতনতা আশা করা যায়! বরং কোভিড-বর্জ্য সাধারণ বর্জ্যে মিশে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। সেই আশঙ্কাই বেশি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE