Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Street dogs

হাতিবাগানে পথকুকুরদের বিষ খাইয়ে হত্যা, আমলার অভিযোগ থানায়

প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে দেখা যায় কুকুরগুলোর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। পরে বেলগাছিয়া ভেটেনারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দু’টি কুকুরের মৃত্যু হয়।

ছবি: ফাইল চিত্র

ছবি: ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৯:২২
Share: Save:

উত্তর কলকাতার হাতিবাগান এলাকার একটি পাড়ায় দু’দিনে ছ’টি পথ কুকুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আশঙ্কা ছড়িয়েছে এলাকার মানুষদের মধ্যে। ওই পাড়ার বাসিন্দা, রাজ্য সরকারের এক আমলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছেন শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রতিটি পথকুকুরকেই বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে।

হাতিবাগানের গণেন্দ্র মিত্র লেনের বাসিন্দা জয়ন্ত চৌধুরী। তিনি রাজ্য সরকারের অগ্নি ও জরুরি পরিষেবা দফতরের উপ-সচিব। শ্যামপুকুর থানাতে বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, তাঁদের পাড়ায় গত বছর দুয়েক ধরে প্রায় সাত-আটটি পথকুকুর আছে।

সোমবার থেকে তিনি এবং তাঁর পরিবারের লোকজন লক্ষ করেন কুকুরগুলো প্রচণ্ড অসুস্থ। প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরে দেখা যায় কুকুরগুলোর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। পরে বেলগাছিয়া ভেটেনারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দু’টি কুকুরের মৃত্যু হয়। এর পর তিনি এবং পাড়ার আরও কয়েকজন বাসিন্দা একটি বেসরকারি পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানে আরও দু’টি কুকুরের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: লেভেল ক্রসিং কি সম্ভব, সংশয়ে রেল

জয়ন্তবাবু বলেন, “চিকিৎসকরা সন্দেহ করছেন যে কোনও ধরনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কীটনাশক খেয়েছে এই কুকুরগুলো। আমাদের সন্দেহ খুব পরিকল্পনা করেই এই কাজ করেছে। কোনও দুষ্কৃতীও থাকতে পারে এর পিছনে। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি যাতে পুলিশ এর পিছনে থাকা দোষীদের খুঁজে বার করে।”

সূত্রের খবর, প্রথমে শ্যামপুকুর থানার আধিকারিকরা অভিযোগ নিতে না চাইলেও, পরে প্রাক্তন এক মুখ্যসচিবের হস্তক্ষেপে এফআইআর করে পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা গোটা বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কিত। তাঁদেরই একজন বলেন,“কয়েকদিন আগেই উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় আরও কয়েকটি পাড়ায় এ রকম ভাবেই কয়েকটি কুকুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।”

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো গেম নিয়ে মায়ের বকুনি, আত্মঘাতী সেনা কর্মীর কিশোর ছেলে​

শুক্রবার ঘটনাস্থলে তদন্তে যান শ্যামপুকুর থানার আধিকারিকরা। এক আধিকারিক বলেন, “এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না আমরা খতিয়ে দেখছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE