প্রতীকী চিত্র
নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠেছে স্কুলেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে খিদিরপুরের আর্য পরিষদ বিদ্যালয়ে এই ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মীকে বহিষ্কার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে পরীক্ষা বয়কট করল পড়ুয়ারা। গোটা ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন দীর্ঘক্ষণ ছাত্রদের হাতে ঘেরাও হয়ে থাকলেন শিক্ষকেরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, খিদিরপুরের নিমক মহল রোডে আর্য পরিষদ বিদ্যালয়ের দু’টি বিভাগ রয়েছে। হিন্দি মাধ্যম স্কুলটির সকালের বিভাগে মেয়েরা পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ বালিকা বিভাগের ছুটি হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ দিন অনেক দেরিতে ছুটি হয়। বুধবার দিবা বিভাগে বেলা এগারোটায় পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ইউনিট টেস্ট ছিল। অভিযোগ, এ দিন বেলা এগারোটা নাগাদ বিদ্যালয়ের দোতলায় তাড়াহুড়ো করে ওঠার সময়ে নবম শ্রেণির ছাত্র মহম্মদ মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বালিকা বিভাগে অস্থায়ী চতুর্থ শ্রেণির কর্মী শোভাদেবীর বচসা শুরু হয়। মনোয়ার প্রতিবাদ করলে তাকে চড় মারা হয় বলে অভিযোগ। মনোয়ারের অভিযোগ, ‘‘আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে ম্যাডাম জুতো দিয়ে মারেন।’’
এর পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। ছাত্রেরা একজোট হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করে পরীক্ষা বয়কট করে। অভিযুক্ত কর্মীর কঠোর শাস্তির দাবিতে ছাত্রেরা শিক্ষকদের ঘেরাও করে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওয়াজাহাত আলি মির্জা বলেন, ‘‘স্কুলের মধ্যে কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে ওই কর্মীর আগে আমাদের জানানো উচিত ছিল। সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, শোভাদেবী এক ছাত্রকে জুতো দিয়ে মারছেন। এ রকম ঘটনা একেবারেই বাঞ্ছনীয় নয়।’’ প্রধান শিক্ষকের কথায়, ‘‘আমরা শোভাদেবীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পাশাপাশি, তাঁর বিরুদ্ধে স্কুলের তরফে যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে বিষয়েও পরিচালন সমিতিকে জানাব।’’ বুধবারের ইউনিট টেস্ট শীঘ্রই নেওয়ার ব্যবস্থা হবে বলে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে। শোভাদেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy