Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ক্লাসঘর ফিরে পেল পড়ুয়ারা

খন্না হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের কয়েকটি ঘর দরমার বেড়া দিয়ে দু’ভাগ করে চলছিল বসবাস।

খন্না হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের কয়েকটি ঘর দরমার বেড়া দিয়ে দু’ভাগ করে চলছিল বসবাস। প্রতীকী ছবি।

খন্না হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের কয়েকটি ঘর দরমার বেড়া দিয়ে দু’ভাগ করে চলছিল বসবাস। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:১৫
Share: Save:

শেষ পর্যন্ত নিজেদের ক্লাসঘর ফিরে পেল বেলেঘাটার খন্না হাইস্কুলের প্রাথমিক শ্রেণির পড়ুয়ারা। ফাঁকা হল তাদের কম্পিউটার রুমও। অভিযোগ উঠেছিল, এলাকার কাউন্সিলর রাজেশ খন্না ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মদতে এত দিন ওই ক্লাসঘর দখল করে বসবাস করছিলেন স্কুল লাগোয়া বস্তির কয়েক জন বাসিন্দা। এর ফলে গত দশ দিন ধরে স্কুলের প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণির পঠনপাঠনে বিঘ্ন ঘটছিল বলে অভিযোগ।

খন্না হাইস্কুলের প্রাথমিক বিভাগের কয়েকটি ঘর দরমার বেড়া দিয়ে দু’ভাগ করে চলছিল বসবাস। ঘরগুলোয় রীতিমতো সংসার পেতে বসবাস করছিল কয়েকটি পরিবার। চলছিল গ্যাস জ্বালিয়ে রান্নাবান্নাও। এ দিন ওই স্কুলে গিয়ে অবশ্য দেখা গিয়েছে, ক্লাসঘরের মাঝের দরমার বেড়া ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ক্লাসে ফেরত এসেছে টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির তরফে আগে জানানো হয়েছিল, ওই স্কুল লাগোয়া বস্তির জমিতে বেসরকারি কলেজ তৈরি হবে। তাই বস্তি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে কয়েক জন দীর্ঘদিন ধরে থাকছিলেন বলে তাঁদের স্কুলের কয়েকটি ঘরে থাকতে দেওয়া হচ্ছিল। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির তরফে আইনজীবী চন্দ্রশেখর বাগ এ দিন বলেন, ‘‘ওঁদের সাময়িক ভাবে থাকতে দেওয়া হয়েছিল। এখন তাঁদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া করা হয়েছে।’’

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির একাংশের দাবি, ওই ঘরের পড়ুয়াদের অন্য ঘরে ক্লাস হচ্ছিল। রাজেশবাবু বলেন, ‘‘মঙ্গলবার থেকে আগের মতোই ওই সব ঘরে ক্লাস শুরু হয়েছে।’’ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্না বলেন, ‘‘বিষয়টি জানতে পেরেই আমরা গত শুক্রবার ওই স্কুলে গিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ক্লাসঘর ফাঁকা করে দিতে বলি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Education Illegal Occupancy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE