ফের ব্যস্ত সময়ে মেট্রোর রেলের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। যার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় সওয়া ঘণ্টা টালিগঞ্জ থেকে ময়দান পযর্ন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ ছিল। আর যার জেরে দুর্ভোগে পড়েন অসংখ্য অফিস যাত্রীরা।
মেট্রো সূত্রে খবর, এই দিন রবীন্দ্র সরোবর স্টেশনে ন’টা ছাপান্ন মিনিটের দমদমগামী বাতানুকুল ট্রেনের সামনে আচমকাই ঝাঁপ দেয় এক যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝঁপ দেওয়ার পরেই ওই যুবকের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের নাম, নিলাদ্রি দত্ত (২৯)। তিনি খড়্গপুরের বাসিন্দা। তাঁর দেহ ময়না তদন্তের জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে চলে আসেন তাঁর বাবা, মা। পুলিশ জানতে পেরছে, নিলাদ্রী দীর্ঘ দিন ধরে থাইরয়েড জনিত অসুখে ভূগছিলেন।
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্টেশনের পাওয়ার ব্লক করে দেহটি লাইন থেকে উদ্ধার করতে হয়। এর জন্য এক ঘণ্টা তেরো মিনিট টালিগঞ্জ থেকে ময়দান পর্যন্ত মেট্রো চলাচল বন্ধ থাকে।’’ যাত্রীদের সুবিধার জন্য অবশ্য পরিস্থিতি সামাল দিতে সেই সময় মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) থেকে কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) এবং ময়দান থেকে দমদম পর্যন্ত আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল করে বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানান।
কিন্তু টালিগঞ্জ থেকে কোনও ট্রেন চাঁদনী চক পর্যন্ত না আসায় অধিকাংশ অফিস যাত্রী, পড়ুয়া এবং অন্যান্যরা বিপদে পড়েন। অফিস টাইমে এই ঘটনার জেরে বহু যাত্রী বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়েন। বিভিন্ন রুটের বাসে ভিড় উপচে পড়ে। অনেকে বাসে উঠতে না পেরে ট্যাক্সি ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু ট্যাক্সিও মহার্ঘ হয়ে দাঁড়ায়। সুযোগ বুঝে কিছু ট্যাক্সি চালক যাত্রীদের কাছে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ।
সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ টালিগঞ্জ থেকে আপ এবং ডাউন লাইনে মেট্রো চলাচল শুরু হলে পরপর বেশ কয়েকটি ট্রেনে ভিড়ের জেরে দম বন্ধকর পরিস্থিতি হয়। যাত্রীদের অভিযোগ, বেশ কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে স্টেশনে পৌঁছায়। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে দুপুর হয়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবারও মহানায়ক উত্তম কুমার স্টেশনে এক জন মাঝ বয়সী ব্যক্তি পড়ে গিয়েছিলেন। চালকের তৎপরতাতেই প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনার জেরেও দুর্ভোগে পড়েছিলেন যাত্রীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy