অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। ওই মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন তাঁর ছেলেও। রবিবার রাত একটা নাগাদ হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাচক্রে মৃত মহিলার বাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির খুব কাছেই।
রবিবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। পুলিশ জানায়, মৃত মহিলার নাম চপলা মান্না (৬৮)। তাঁকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই মহিলার ছেলে রবীন মান্নাও এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে চপলাদেবী দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভূগছিলেন। রবিবার রাত একটা নাগাদ তাঁকে ঘরের মধ্যেই আগুনে পুড়তে দেখেন তাঁর পরিজন ও পড়শিরা। মাকে আগুনে পুড়তে দেখে তাঁকে বাঁচানোর জন্য ওই ঘরের মধ্যে ঢোকেন তাঁর ছেলে রবীন মান্না। পুলিশ জানায়, চপলাদেবীকে বাঁচাতে গিয়ে রবীনবাবুর পিঠের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গিয়েছে।
তদন্তকারী দলের সদস্যরা জানান, চপলাদেবীর ঘর থেকে একটি কেরোসিন তেলের বোতল এবং লাইটার পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের অনুমান, চপলাদেবী মানসিক অবসাদের জেরে আত্মঘাতী হতে পারেন। তবে এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে বলে তদন্তকারীরা জানান।
পুলিশ জানায়, সোমবার চপলাদেবীর ঘর থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই চপলাদেবী মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy