বন্ধ সেই শৌচালয়। —নিজস্ব চিত্র।
তৈরি হয়েও খুলল না শৌচাগারের দরজা। ফলে পথচলতি মানুষ রাস্তার ধারেই প্রস্রাব করছেন। যদিও স্থানীয় কাউন্সিলরের দাবি, মাত্র আট মাস আগে সুলভ শৌচাগারটি তৈরি করা হয়েছে এবং ভিতরের কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলেই বন্ধ রাখা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বি এল সাহা রোডের উপরে পুরসভার তৈরি সুলভ শৌচাগার এ ভাবেই পড়ে আছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের বিভিন্ন রাস্তার উপরে, বিশেষ করে যেখানে জনসমাগম বেশি হয় এমন জায়গায়, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সুলভ শৌচাগারের সংখ্যা বাড়ানো হবে। শহরের ভিতরে এ ধরনের সুলভ থাকলেও, সংযোজিত ওয়ার্ডগুলিতে সে ভাবে সুলভ তৈরি হয়নি। অথচ গত ১০ বছরে বেহালা সংলগ্ন এলাকা তথা ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও বসতির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ছোটখাটো অফিস থেকে শুরু করে বাজার ও দোকানের সংখ্যা। ফলে লোকজনও বেড়েছে। কিন্তু বাজার বা দোকানগুলির জন্য পৃথক কোনও শৌচাগার না থাকায় পুরুষেরা রাস্তার ধারে কিংবা স্থানীয় ভ্যাটকেই শৌচাগার হিসাবে ব্যবহার করেন। এতে এলাকা নোংরা হলেও কিছু করার থাকে না। তাই বছর খানেক আগে স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে বি এল সাহা রোডের উপর একটি সুলভ শৌচাগার তৈরি শুরু হয়। কাজও শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য তা খোলা হয়নি।
বেসরকারি আবাসনের মূল গেটের বাইরেই রয়েছে একটি ভ্যাট। এই ভ্যাটের জন্য ওই আবাসনের বাসিন্দা বেশ ক্ষুব্ধ। কারণ খোলা ভ্যাট ডিঙিয়ে তাঁদের ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে শুরু করে পুরসভার কাছে তাঁরা বার বার আবেদন করেন এই ভ্যাটটি অন্যত্র সরাতে। কিন্তু পুরসভা তা করেনি, উল্টে তার পাশেই একটি সুলভ তৈরি করে করেছে। কিন্তু তৈরি করলেও, তা খোলার জন্য কোনও পদক্ষেপ করেননি তৃণমূলের কাউন্সিলর কৃষ্ণা সিংহ।
যদিও কৃষ্ণাদেবীর দাবি, মাত্র আট মাস আগে সুলভের বাইরের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ভিতরের কিছু কাজ বাকি রয়েছে বলেই খোলা হয়নি। এমনকী শৌচাগারের অভাবে পথচলতি মানুষের সমস্যার কথাও তিনি মানতে চাননি। যদিও পুর-কর্তৃপক্ষ জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy