যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।—ফাইল চিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-বিক্ষোভকে ঘিরে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু উপাচার্য সুরঞ্জন দাস আরও এক বার জানিয়ে দিলেন, তিনি তা চাইছেন না।
সুরঞ্জনবাবু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বৃহস্পতিবার। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ওরা (বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলমালে জড়িত পড়ুয়ারা) সকলে আমার ছাত্র। আমি মনে করি, ওরা ওদের ভুল বুঝতে পারবে।’’ তিনি জানান, হাসপাতালে ভর্তির পরে পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার কথা উঠেছিল। কিন্তু তিনি তা চাননি। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তোলায় একই কথা জানিয়েছিলেন উপাচার্য।
সুরঞ্জনবাবু জানান, চিকিৎসকেরা আপাতত তাঁকে বাড়িতে বিশ্রাম নেওয়ার পরমর্শ দিয়েছেন। ১২ দিন পরে আবার তাঁর শারীরিক পরীক্ষা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে থেকে তিনি তাঁর এই চিকিৎসার খরচ নেননি বলে উপাচার্য এ দিন জানিয়েছেন।
ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পড়ুয়া-বিক্ষোভ চলাকালীন বেরোতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন সুরঞ্জনবাবু। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। তাঁকে শারীরিক ভাবে নিগৃহীত করা হয়েছে বলে সে-দিন অভিযোগ করেছিলেন উপাচার্য। এ দিন সুরঞ্জনবাবু বলেন, ‘‘আমাকে আইনের পরিধির মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। ছাত্র
সংসদের নির্বাচন করার এক্তিয়ার
নেই আমার। পড়ুয়াদের বিষয়টি
বোঝা উচিত।’’ তিনি জানান, যাদবপুরে ছাত্রস্বার্থ সবার উপরে। এটা ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের বোঝা উচিত। সব কিছুই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব। এ দিনও পড়ুয়াদের একাংশ ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে কর্তৃপক্ষের সক্রিয়তার দাবিতে অবস্থান চালিয়ে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy