ডেঙ্গির পাশাপাশি আতঙ্ক বাড়াচ্ছে সোয়াইন ফ্লু। মঙ্গলবার সকালে পার্ক সার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয় নদিয়ার ধানতলা থানা এলাকার বাগাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাড়ে পাঁচ বছরের বর্ষা বিশ্বাসের। প্রায় ১৮ দিন আগে জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। শারীরিক পরীক্ষায় সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়ে। ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা হলেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি।
বর্ষার পিসেমশাই শচীন মণ্ডল এ দিন জানান, দিন কুড়ি আগে জ্বর আসায় প্রথমে তাকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখান থেকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।
১৯ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার কোতলপুরের সাড়ে ছ’বছরের শ্রীতমা রায় ওই বেসরকারি হাসপাতালেই সোয়াইন ফ্লু-তে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। দিন পনেরো আগে কাকদ্বীপের এক মহিলা আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সোয়াইন ফ্লু-তে মারা গিয়েছিলেন। বর্ষার মৃত্যুতে এ বছর রাজ্যে সোয়াইন ফ্লু-তে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সরকারি তৎপরতা জরুরি। কারণ, সংক্রমণ প্রথম স্তরেই রুখতে না-পারলে বিপদ বাড়ে। শুয়োরের দেহের মাধ্যমেই সোয়াইন ফ্লু-র ভাইরাস ছড়ায়। তাই শুয়োর পালন যেখানে হচ্ছে, সেখানে বিশেষ নজরদারি জরুরি। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বাড়তি সচেতনতা প্রসার প্রয়োজন।
স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য এখনই বর্ষার মৃত্যুর কারণ সোয়াইন ফ্লু বলে মানতে নারাজ। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, তার চিকিৎসার নথি যাচাই করে দেখার পরে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যাবে। তবে, সোয়াইন ফ্লু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সংক্রামক রোগ নিয়ে রাজ্য জুড়েই সতর্কতা বা়ড়ানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy