Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Tablo

বন্যপ্রাণী বাঁচাতে হাওড়ার পথে নামল বন দফতরের ট্যাবলো

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া ও হুগলি-সহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় বন্যপ্রাণীদের পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। যেমন বাঘরোল।

সচেতনতায়: এমন ট্যাবলো নিয়েই শুরু হল প্রচার। নিজস্ব চিত্র

সচেতনতায়: এমন ট্যাবলো নিয়েই শুরু হল প্রচার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০ ০২:৩৭
Share: Save:

যথেচ্ছ ভাবে জলাশয় বুজিয়ে ফেলায় বাসস্থান হারিয়ে ফেলছে বহু প্রাণী। তাই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে তারা। মারা পড়ছে মানুষের হাতে। বাঘরোল, ভারতীয় কচ্ছপ, কাঠবিড়ালি ও সাপের মতো বন্যপ্রাণীদের বাঁচাতে এ বার তাই পথে নামল রাজ্য বন দফতর। বৃহস্পতিবার হাওড়া থেকে ‘বনগাড়ি’ নামে একটি সুসজ্জিত ট্যাবলোর মাধ্যমে শুরু হল বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ যাত্রা। ওই যাত্রার সূচনায় উপস্থিত ছিলেন বন দফতরের পদস্থ কর্তারা। তাঁরা জানান, হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা হয়ে ট্যাবলো যাবে হুগলি জেলাতেও। যাত্রা চলবে তিন মাস ধরে।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া ও হুগলি-সহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় বন্যপ্রাণীদের পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। যেমন বাঘরোল নামে এক ধরনের বন্যপ্রাণীকে ভুল করে বাঘের বাচ্চা ভেবে বিভিন্ন জেলায়, বিশেষ করে হাওড়ায় প্রায়ই পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। ফলে ক্রমশ সংখ্যা কমছে বিরল প্রজাতির এই প্রাণীটির।

এই ধরনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বন দফতর তাই বন্যপ্রাণী-হত্যা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনেই শুরু করল বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ যাত্রা। বন দফতরের বক্তব্য, হাওড়া ও হুগলি জেলাতেই সব থেকে বেশি বাঘরোল জন্মায়। বাসস্থানের অভাবে বাঘরোল লোকালয়ে ঢুকে পড়লে প্রায়ই মানুষের হাতে মারা পড়ছে।

হাওড়ার জেলা বন আধিকারিক বিদিশা বসাক বলেন, ‘‘বন্যপ্রাণীদের কী ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে ওই ট্যাবলো। ট্যাবলোতেই দেখানো হবে বন্যপ্রাণীদের ভিডিয়ো শো। বন দফতরের পদস্থ অফিসারেরাও ট্যাবলোর সঙ্গে ঘুরে সচেতনতা প্রসারের কাজ করবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Wild Animal Tablo
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE