অল্প দিনেই ট্যাক্সির বিকল্প হয়ে উঠেছে কয়েকটি বেসরকারি ‘ক্যাব’ পরিষেবা। থাবা বসিয়েছে ট্যাক্সিচালকদের যাত্রী-প্রত্যাখ্যানের মৌরসীপাট্টায়। তাতেই কপালে ভাঁজ ট্যাক্সিওয়ালাদের। নিজেদের ‘প্রভাব’ বজায় রাখতে তাই উপযুক্ত পারমিট ছাড়া ক্যাবকে চলতে দেওয়ার অভিযোগ তুলে ২৬ মে চব্বিশ ঘণ্টা ট্যাক্সি ধর্মঘট ডাকল ট্যাক্সিমালিক সংগঠন বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশন।
ভাল পরিষেবা পাওয়ায় দেশের অন্য বড় শহরের মতো কলকাতারও অনেকে নতুন ক্যাব-এর দিকে ঝুঁকলেও পরিবহণ দফতরের একাংশও ট্যাক্সিমালিক সংগঠনগুলির অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছে না। পরিবহণ কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নতুন ওই ক্যাবগুলি প্রয়োজনীয় পারমিট ছাড়াই শুধুমাত্র বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশনের ভিত্তিতে পথে নেমেছে। যা মোটর ভেহিক্লস আইনের বিরোধী। পারমিট না-থাকায় ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশ ও পরিবহণ দফতর এমন প্রায় ৪০টি ক্যাব আটক করেছে। রাজ্য পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘আটক গাড়িগুলি ব্যক্তিগত মালিকানার। কোনওটিরই সংশ্লিষ্ট ক্যাব সংস্থার রেজিস্ট্রেশন নেই। সংস্থাগুলি ওই গাড়িগুলির দায়িত্বও নিচ্ছে না। এ নিয়ে আমরাও খানিকটা ফাঁপরে।’’
বেঙ্গল ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনও শুক্রবার ওই পরিবহণ কর্তাদের সুরেই বেআইনি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিমল গুহ বলেন, ‘‘ক্যাব চলুক, অসুবিধা নেই। কিন্তু বেআইনি ভাবে তা চলতে দেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি জানান, সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ট্যাক্সির পারমিট দেয়। এ ক্ষেত্রে ওই নিয়ম মানা হয়নি। দ্বিতীয়ত, সরকার ভাড়ার তালিকা ঠিক করে দেয়। এ ক্ষেত্রে যে যেমন খুশি ভাড়া নিচ্ছে। এ সবের বিরুদ্ধেই তাঁরা পথে নামছেন দাবি করে বিমলবাবু বলেন, ‘‘২৬ মে-র ধর্মঘটে কাজ না হলে অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট ডাকা হবে। তাতেও কাজ না হলে আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy