ফাইল চিত্র।
কলেজশিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। এই সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ‘ইউনাইটেড স্টুডেন্টস অ্যান্ড রিসার্চ স্কলার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (উসরেসা) এবং ‘পশ্চিমবঙ্গ কলেজ চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ’। পুলিশ অবশ্য তাঁদের ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যায়। পরে জামিনে মুক্তি পান তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁরা সকলেই ‘নেট’ অথবা ‘সেট’ উত্তীর্ণ।
অবিলম্বে ‘স্টেট-এডেড কলেজ টিচার’-দের (স্যাক্ট) নিয়োগ বাতিল করা, পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের কলেজ সার্ভিস কমিশনে (সিএসসি) আবেদনের বয়ঃসীমা ৫০ বছর করা, সিবিসিএস ভেকেন্সি অনুযায়ী সকল যোগ্যতাসম্পন্নদের কলেজে চাকরি দেওয়া এবং রূপান্তরকামীদের সিএসসি-র সংরক্ষণের অন্তর্ভুক্ত করা-সহ বেশ কিছু দাবিতে এই বিক্ষোভ হয়।
এ দিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে করুণাময়ী থেকে বিকাশ ভবন পর্যন্ত এলাকায় ছিল পুলিশের কড়া পাহারা। জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। তবু গবেষকেরা বিকাশ ভবনের উল্টো দিকে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ২৫-৩০ মিনিট বাদে পুলিশ আন্দোলনকারীদের টেনে ভ্যানে তোলে। বিক্ষোভকারীদের অন্যতম, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও পশ্চিমবঙ্গ কলেজ চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের আহ্বায়ক কানু মণ্ডলের অভিযোগ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তপন প্রামাণিককে জুতো দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে এবং জামা ছিঁড়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ। দু’টি পুলিশ ভ্যানে করে মোট ৩৫ জনকে বিধাননগর উত্তর ও দক্ষিণ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁরা সকলে জামিনে ছাড়া পান।
কানু এ দিন বলেন, ‘‘ইউজিসি-র নিয়ম মেনে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন চলবে। সরকারকে স্যাক্ট প্রত্যাহার করতেই হবে। না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যাব আমরা।’’
এ দিকে, সিএসসি-র ২০১৮ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্যানেলভুক্ত প্রার্থীদের সংগঠন দাবি
জানিয়েছে, তাঁদের প্রায় ৪০০ জন প্রার্থীকে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। এর আগে সম্প্রতি সিএসসি-র রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজগুলিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদে নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তির বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল ‘ডেমোক্র্যাটিক রিসার্চ স্কলার্স অর্গানাইজ়েশন’
(ডিআরএসও)। সোমবার সিএসসি এবং উচ্চশিক্ষা দফতরে তারা স্মারকলিপি দিয়েছে।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ সভা করে। দাবিগুলির মধ্যে ছিল, সিএসসি-র ২০১৮ সালের প্যানেলের সকল প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ এবং স্টেট এডেড কলেজ টিচারদের (স্যাক্ট) নিয়োগ বাতিলের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy