Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসন ‘মশার আঁতুড়’

সল্টলেকের সিসি ব্লকের একটি কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসন কার্যত মশার আঁতুড় হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় পুর প্রশাসনের।

অভিযান: সল্টলেকের টেলিকম আবাসন পরিদর্শনে পুরকর্মীরা। রয়েছেন কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায়। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।

অভিযান: সল্টলেকের টেলিকম আবাসন পরিদর্শনে পুরকর্মীরা। রয়েছেন কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায়। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৩৬
Share: Save:

আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে একটি জঙ্গলের মধ্যে কয়েকটি বাড়ি। আসলে সেটি কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসন।

সল্টলেকের সিসি ব্লকের একটি কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসন কার্যত মশার আঁতুড় হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় পুর প্রশাসনের। বুধবার আবাসনে ঢুকে দেখা গেল, চার দিকে ভনভন করছে মশা। বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যার পরে জানলা দরজা বন্ধ করেও লাভ হয় না। যত্রতত্র পড়ে থাকে আবর্জনা। চার দিকে ঝোপঝাড় বেড়ে গিয়ে কার্যত জঙ্গলে পরিণত হয়েছে আবাসনটি। পুর প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে, ওই আবাসনের ভিতরে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব বিএসএনএল এবং ডাক ও তার বিভাগের। অথচ গত ৭ বছর ধরে এমনই হাল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন, বার বার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয় না। ডাক ও তার বিভাগের কর্মীরা তবু কিছু কাজ করেন। কিন্তু বিএসএনএলকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি।

বুধবার স্থানীয় ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তুলসী সিংহরায় পুরকর্মীদের নিয়ে ওই আবাসনে যান। পুরসভা সূত্রে খবর, ২টি চৌবাচ্চা থেকে প্রচুর মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে। কাউন্সিলর জানান, এই আবাসন এবং আশপাশের বাসিন্দারা দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ জানাচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারি আবাসনে পুরসভা সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে মশা এবং মশাবাহিত রোগের প্রকোপ তো শুধু একটি আবাসনে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তাই বাধ্য হয়ে মশার তেল স্প্রে করার কাজ করা হল। পুরসভা সূত্রের দাবি, ওই আবাসনে ৫-৬ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকেই জ্বরেও আক্রান্ত।

বিধাননগর পুরসভার একাংশ জানান, বিধাননগরের কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস এবং আবাসনগুলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। প্রয়োজনে নোটিসও পাঠানো হবে।

ওই আবাসনের ভিতরেই রয়েছে বিএসএনএল-এর অফিস। কিন্তু এ দিন দুপুরে গিয়েও কারও দেখা মেলেনি। এক পদস্থ কর্তাকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। ডাক ও তার বিভাগের এক কর্তাকেও ফোন করে সাড়া মেলেনি। জবাব মেলেনি এসএমএসেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE