প্রতীকী ছবি।
দু’জনেরই মাথায় গভীর ক্ষত। এক জনের হাতে শনিবার অস্ত্রোপচার হয়েছে এসএসকেএমে। অথচ, তাঁদের এই হাল হল কী করে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। আহতদের দাবি, ১৪ অগস্ট রাতে জাতীয় পতাকা লাগানোর সময় তৃণমূলের লোকজন তাঁদের মারধর করেছে। পুলিশের একাংশ জানাচ্ছেন, ও সব কিছুই নয়। মোটরবাইক নিয়ে মাঝরাস্তায় পড়ে গিয়েই তাঁরা আঘাত পেয়েছেন।
স্বাধীনতা দিবসের দিন, টালিগঞ্জ থানায় মারধরের অভিযোগও করেছে আহতদের পরিবার। প্রাথমিক ভাবে দুর্ঘটনার কথা বললেও আরও তদন্তের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই এলাকার তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যেও এ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল চাপ দিয়ে পুলিশকে অভিযোগ না নিতে বাধ্য করেছে। আর তৃণমূলের দাবি, সংঘর্ষের কথা তাঁরা শোনেননি।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ অগস্ট রাতে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের দাবি, টালিগঞ্জ থানার বিপরীতে জাতীয় পতাকা লাগাচ্ছিলেন তাঁদের কর্মীরা। হঠাৎ ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক জন তৃণমূল কর্মী তাঁদের মারধর করেন। গুরুতর জখম হন রোহিত পাসোয়ান এবং শুভদীপ মণ্ডল নামে দু’জন। রোহিতদের মোটরবাইকও ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরে দু’জনকেই এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই শনিবার রোহিতের হাতে অস্ত্রোপচার হয়। টালিগঞ্জ থানায় গেলে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে চায়নি বলে অভিযোগ রোহিতের পরিবারের। তাঁদের কথায়, ‘‘প্রথমে অভিযোগ নিল না। পরে বলল, মোটরবাইক নিয়ে পড়ে গিয়েই নাকি এমন হয়েছে!’’
এ নিয়ে টালিগঞ্জ থানার কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘রাতে সাদার্ন অ্যাভিনিউ থেকে বেলতলার দিকে মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন ওই দু’জন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান তাঁরা। তাতেই চোট পেয়েছেন। তবে বিষয়টি আরও দেখতে হবে।’’ যদিও পুলিশের এই মতকে উড়িয়ে দিয়ে রাসবিহারী এলাকার বিজেপি নেতা বীরেশ্বর মণ্ডল দাবি করেন, ‘‘পুলিশ দুর্ঘটনার তত্ত্ব দিচ্ছে। আদতে তৃণমূল মারধর করেছে। প্রশাসন কিছুই করছে না।’’ ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারমিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন সংঘর্ষের কথা শুনিনি। একটা দুর্ঘটনার কথা কানে এসেছিল। আসলে কী ঘটেছে, পুলিশ ভাল বলতে পারবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy