প্রতীকী ছবি।
বিধাননগর পুরসভার একটি ওয়ার্ডের বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হল এক ব্যক্তিকে। ধৃতের নাম আশিস দাস, তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকার ওয়ার্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট। শুক্রবার রাতে, সুকান্ত নগরের বাড়ি থেকে।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড অফিসের দোতলায় একটি কমিউনিটি হল নির্মাণের কাজ চলছিল। পুরসভার কাছে খবর আসে, অসম্পূর্ণ অবস্থাতেই সেখানে বিয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুরসভা যখন যায়, তত দিনে ওই বাড়িতে দু’টি বিয়ে হয়ে গিয়েছে। নভেম্বর মাসের এক দিন পুরসভা আচমকা অভিযান চালিয়ে দেখে, তখন বিয়ের তোড়জোড় চলছে। তৎক্ষণাৎ সে সব বন্ধ করে দেয় পুরসভা। পাশাপাশি, পুরসভার তরফে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ করা হয়।
পুরসভার অভিযোগ, অনুষ্ঠান বাড়িটি এখনও চালু হয়নি, কত ভাড়া নেওয়া হবে তা-ও নির্দিষ্ট হয়নি, অথচ পুরসভাকে না জানিয়ে বিয়ের জন্য ভাড়া দেওয়া হল। তদন্তে নেমে পুলিশ আশিসবাবুকে গ্রেফতার করে। কত ভাড়া নেওয়া হয়েছিল, তা পুলিশ সরকারি ভাবে বলেনি। তবে সূত্রের খবর, কুড়ি হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা পুরসভায় জমা পড়েনি বলে জেনেছে পুলিশ।
পুরসভার বক্তব্য, যে অনুষ্ঠান বাড়ি এখনও ভাড়া দেওয়ার জন্য চালুই হয়নি, তার টাকা পুরসভা কী ভাবে নেবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এটা বিশ্বাস করা কঠিন যে, স্থানীয় কাউন্সিলর অথবা পুর প্রশাসনের অজান্তে একটা কমিউনিটি হল ভাড়া দেওয়া হল। আর তার দায়টা পুরোই আশিসবাবুর কাঁধে চাপল। তিনি তো এক জন কর্মী। তাঁর কত ক্ষমতা!
পুলিশের বক্তব্য, এর পিছনে আর কেউ আছেন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দেব নস্করকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তাঁর অনুগামীদের একাংশের দাবি, যে সময়ে বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়েছিল, তিনি তখন শহরে ছিলেন না। তাই এ বিষয়ে জানেন না। বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্ত বলেন, কে জড়িত, কে নয়, সেটা পুলিশ দেখছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি সম্পত্তি বেআইনি ভাবে ব্যবহার করতে দেবে না পুরসভা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy