পরীক্ষার ফল বেরোনোর কথা তিন মাস পরে। কিন্তু উত্তরপত্রই কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে গিয়েছে চার মাস বাদে। এখন তড়িঘড়ি স্নাতক স্তরের বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা বিভাগের পার্ট-২ জেনারেলের উত্তরপত্র জমা দেওয়ার কথা তুলতেই বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক জয়ন্ত সিংহ।
শুক্রবার জয়ন্তবাবুর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ হলে বৈঠক হয় প্রায় শতাধিক কলেজের অধ্যক্ষের। সেখানেই দ্রুত উত্তরপত্র জমা দেওয়ার বিরোধিতা করেন অধ্যক্ষেরা। পরে বাধ্য হয়ে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা আরও সাত দিন পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ।
ওই বৈঠকে উপস্থিত কলকাতার একটি কলেজের অধ্যক্ষ জানান, স্নাতক স্তরে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলা বিভাগের পার্ট-২ জেনারেলের পরীক্ষা হয়েছে জুন মাসে। তার পরে নিয়ম অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ হওয়ার কথা। কিন্তু পরীক্ষার উত্তরপত্রই অধ্যক্ষদের কাছে পৌঁছেছে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। তার পরে পুজোর ছুটি শুরু হওয়ায় অনেক দেরিতে শিক্ষকদের কাছে উত্তরপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ দিনের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে হঠাৎই জানানো হয়, যে সমস্ত শিক্ষক উত্তরপত্র পরীক্ষা করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে উত্তরপত্রগুলি সংগ্রহ করবে কলেজ। ৯ নভেম্বরের মধ্যে সেগুলি প্রধান পরীক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে এবং প্রধান পরীক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তরপত্রগুলি জমা দেবেন ১৪ নভেম্বর। এ কথা শুনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন অধ্যক্ষদের অধিকাংশ।
এক অধ্যক্ষ পরীক্ষা নিয়ামককে জানান, বহু শিক্ষকের কাছে খাতা সবে মাত্র দেওয়া হয়েছে। সেগুলি কী পরিস্থিতিতে রয়েছে, তা জানা নেই। তা ছা়ড়া, শিক্ষকেরা অনেকেই ছুটিতে রয়েছেন। ১২ নভেম্বর পুরোদমে ক্লাস চালু হবে। তার আগে ৭ এবং ৯ নভেম্বর কোনও কিছুই করা সম্ভব নয়। ফলে ১৪ নভেম্বর উত্তরপত্র জমা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই
ওঠে না। পরীক্ষা নিয়ামকের সই করা নির্দেশ দেওয়া হলেও তা নিয়ে বিরোধিতা শুরু হয়। এর পরে সাত দিন সময় চেয়ে নেন অধ্যক্ষেরা। তার পরে আরও সাত দিন, অর্থাৎ উত্তরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে ২১ নভেম্বর করা হয়েছে বলে জানান উত্তর কলকাতার এক কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘সিবিসিএস চালু করতে গিয়ে পুরো ব্যবস্থাটাই ঘেঁটে গিয়েছে। কোনও কাজ আর ঠিক সময়ে হচ্ছে না।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘দেরি একটু হয়েছে। তাই উত্তরপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা সাত দিন বাড়ানো হয়েছে।’’ তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপক কর ও জয়ন্ত সিংহকে ফোন করা হলে তাঁরা কেউই ফোন তোলেননি। জবাব দেননি মেসেজেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy