Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় তরুণীর, বলছে রিপোর্ট

পুলিশ আরও জানিয়েছে, গুড্ডনের ঘর থেকে সোমবার যে সুইসাইড নোট মিলেছে তাতে লেখা রয়েছে, ‘আমি ও আমার মেয়ে আত্মহত্যা করছি।’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৫১
Share: Save:

নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনির তরুণী গুড্ডন ধানানির (২৬) মৃত্যু হয়েছে বিষক্রিয়ায়। ময়না-তদন্তের রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে এ তথ্যই উঠে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে সেটি ইঁদুর মারার বিষ ছিল। কারণ পেটে ফসফরাস মিলেছে। সাধারণত ইঁদুর মারার বিষেই এই ফসফরাস থাকে। তরুণীর পেটে খাবারও মেলেনি। অর্থাৎ খালি পেটে ওই বিষ শরীরে মিশেছিল।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, গুড্ডনের ঘর থেকে সোমবার যে সুইসাইড নোট মিলেছে তাতে লেখা রয়েছে, ‘আমি ও আমার মেয়ে আত্মহত্যা করছি।’ যা দেখে পুলিশের অনুমান, সেটি গুড্ডনের মা নীলমের লেখা। সম্ভবত মা-মেয়ে দু’জনেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও ভাবে মা আত্মহত্যা করতে পারেননি বা ব্যর্থ হয়েছেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই সুইসাইড নোটে এক দূর-সম্পর্কের জামাইবাবু ও দেওরকে দোষারোপ করেছেন নীলম। বলা হয়েছে, মাস আটেক আগে গুড্ডনের বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু তা ভেঙে যায় ওই দু’জনের জন্য।

পুলিশের অনুমান, বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় মা-মেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট বলছে, গুড্ডনের মৃত্যু হয় সাত থেকে দশ দিন আগে। আর সুইসাইড নোটটি লেখা হয়েছে ২৫ ডিসেম্বর। যদিও সোমবার বিজয়কুমার খাতনানি পুলিশকে জানান, তাঁর বৌদি নীলম ফোনে জানিয়েছিলেন, গুড্ডন ২৩ ডিসেম্বর সুইসাইড করেছেন। ফলে নীলমের কথার অসঙ্গতি চিন্তায় ফেলেছে পুলিশকে। যদিও তিনি ইচ্ছে করে নানা ধরনের কথা বলছেন নাকি অসুস্থতার কারণে বলছেন, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না বলেই পুলিশ জানিয়েছে। ফলে গুড্ডন নিজে বিষ খান নাকি নীলম খাইয়েছিলেন, সেই ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Poison New Alipore Forensic Report
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE