ঘোষণা: রাস্তা সারাই বন্ধের কথা জানিয়ে রাজডাঙায় পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
হটমিক্স প্লান্ট বন্ধ সংক্রান্ত মামলায় জাতীয় পরিবেশ আদালতে আবেদন করেছে কলকাতা পুরসভা। আজ, মঙ্গলবার সেই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হটমিক্স প্লান্ট পরিবেশবান্ধব করতে হবে বলে রায় দিয়েছিল পরিবেশ আদালত।
পুরসভা সূত্রের খবর, আবেদনে হটমিক্স প্লান্টকে পরিবেশবান্ধব করে তোলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় দেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করা হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের যুক্তি, নির্দেশের পরপরই একটি ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা রয়েছে। পরিবেশবান্ধব প্লান্ট তৈরির ক্ষেত্রেও কিছুটা সময় লাগবে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ কলকাতার গ়ড়াগাছা এবং বেলেঘাটার পামারবাজারে পুরসভার যে দু’টি হটমিক্স প্লান্ট রয়েছে, তা পরিবেশবান্ধব করে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তাই সেইটুকু সময় দেওয়া হোক।
পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অবিলম্বে হটমিক্স প্লান্ট বন্ধ করে দেওয়ার অন্য অসুবিধাও রয়েছে। মানিকতলা, আলিপুর রোড, বেলভেডিয়ার রোড-সহ একাধিক রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ির জন্য রাস্তার হাল খারাপ। পথচারী ও ট্র্যাফিকের কথা ভেবে সেগুলি দ্রুত সারানো প্রয়োজন। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘জাতীয় পরিবেশ আদালত যেমন বলবে, তেমন ভাবেই কাজ করা হবে। কিন্তু একটা ব্যবস্থা বন্ধ করে আর একটা ব্যবস্থা চালু করতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। সেই সময়টুকু শুধু আমাদের চাই।’’
প্রসঙ্গত, পাথরকুচি, বালি, চুন ও বিটুমিন দিয়ে বানানো হয় হটমিক্স। রাস্তা সারাইয়ের কাজে পাশেই আগুন জ্বালিয়ে তৈরি করা হয় ওই মিশ্রণ। কিন্তু হটমিক্স তৈরির সময়ে নির্গত হওয়া কার্বন-ডাই-অক্সাইড ও কার্বন মনোক্সাইডে বায়ুদূষণ হয় বলে সরব হয়েছেন পরিবেশকর্মীদের একাংশ। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের বক্তব্য, কলকাতা শহরে এখনও যে ভাবে রাস্তা সারাই হয়, তা ব্রিটিশ আমলে হত। যে সাধারণ মানুষের জন্য রাস্তা সারাইয়ের কথা বলছে পুরসভা, সেই সাধারণ মানুষের জীবনই বিপন্ন হচ্ছে দূষণের কারণে! জাতীয় পরিবেশ আদালতও বিষয়টির উল্লেখ করেছে। সুভাষবাবুর কথায়, ‘‘কেন উন্নততর ব্যবস্থা চালু করছে না পুরসভা, সে একটা ধাঁধা। এর পিছনে ঠিকাদার গোষ্ঠী বা অন্য কোনও আঁতাত রয়েছে কি না, তা দেখার বিষয়!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy