Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পুলিশ আবাসনের ঘর থেকেই চুরি গেল টাকা-গয়না

দরজা টানতেই সেটি খুলে যায়। মোস্তাফার অভিযোগ, আলমারির লকারে রাখা টাকা ও গয়না মেলেনি। ওই রাতেই যাদবপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। শুক্রবার সকালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মোস্তাফা।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৯ ০১:১৭
Share: Save:

এলাকার সর্বত্র সব সময়ে পুলিশকর্মীদের আনাগোনা। তার মধ্যেই গ্রিল কেটে, চাবি দিয়ে আলমারি খুলে চুরি হল টাকা-গয়না। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে যাদবপুর থানার অন্তর্গত পুলিশ আবাসনে, গোয়েন্দা বিভাগের এক পুলিশকর্মীর ঘর থেকে। ওই আবাসনেরই ঢিল ছোড়া দূরত্বে আবার রয়েছে ডিসি এসএসডি-র অফিস।

রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সাব-ইনস্পেক্টর শেখ গোলাম মোস্তাফা শুক্রবার একটি অভিযোগে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টো নাগাদ তিনি

শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেছিলেন। সেই সময়ে বারান্দার দিক থেকে একটি আওয়াজ পেয়ে তিনি দেখেন, জানলায় লাগানো মশা আটকানোর জালটি কাটা। তাঁর অভিযোগ, তিনি বারান্দায় গিয়ে দেখেন, সেখানে একটি জায়গায় গ্রিলও কাটা রয়েছে। ঘরে ঢুকে তিনি স্ত্রীকে ডেকে তোলেন। তাঁরা দেখেন, ঘরে থাকা আলমারির দরজা ভেজানো রয়েছে। দরজা টানতেই সেটি খুলে যায়। মোস্তাফার অভিযোগ, আলমারির লকারে রাখা টাকা ও গয়না মেলেনি। ওই রাতেই যাদবপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। শুক্রবার সকালে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মোস্তাফা।

অভিযোগে ওই পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, যে আলমারি থেকে টাকা এবং গয়না চুরি গিয়েছে সেটির চাবি ছিল পাশের একটি দেওয়াল আলমারিতে। চোর সেখান থেকে চাবি নিয়ে আলমারি খোলার পরে লকারের চাবিও খোলে। মোস্তাফার দাবি, লকারে রাখা পনেরো-কুড়ি হাজার টাকা আর তাঁর স্ত্রীর প্রায় ১৪ ভরির মতো গয়না নিয়ে পালিয়েছে চোর। তাঁর আরও দাবি, তিনি আবাসনের যে ব্লকে থাকেন, সেখানের দোতলার বারান্দায় পড়ে ছিল খালি গয়নার বাক্সও।

পুলিশ জানিয়েছে, যে আলমারি থেকে টাকা এবং গয়না চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ সেটির পাশের খাটেই ঘুমোচ্ছিলেন মোস্তাফা। কিন্তু চুরির সময়ে ঘুম ভাঙেনি ওই পুলিশকর্মী বা তাঁর স্ত্রীর। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। কোনও ওষুধ স্প্রে করা হয়েছিল কি না, তা

খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, আবাসন লাগোয়া সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। চুরির ধরন দেখে পুলিশের অনুমান, পরিচিত কেউই চুরিতে জড়িত। কারণ, আলমারির চাবি কোন জায়গায় রয়েছে, তা চোর জানত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

theft Crime police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE